দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বহুজনই জানেন না হয়তো যে, নৈনিতালে মোট সাতটি তাল অর্থাৎ হ্রদ রয়েছে। ভীমতাল, সাততাল, নাউকুচিয়াতাল, খুরপাতাল, মালয়াতাল, হরিশতাল এবং লোখাতাল নিয়ে কুমায়নের এই অঞ্চল। তবে, নৈনিতাল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় কিন্তু আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে খুরপাতালে। দার্জিলিং শৈলশহরের বাইরে যদি বাঙালিদের তালিকায় নাম থাকে তাহলে সেটা সিমলা আর মুসৌরি। সেই তালিকায় বেশ উপরের দিকে রয়েছে নৈনিতালও। একটি মাত্র হ্রদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে নৈনিতাল। যদিও শুধু হ্রদের টানেই যে দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা নৈনিতাল ভিড় করেন, তা নয়। নৈনিতালকে ঘিরে রয়েছে নয়না পিক-চয়না পিক,ভীমতাল,সাততালের মতো একাধিক টুরিস্ট স্পট। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে, নৈনিতালে মোট সাতটি হ্রদ রয়েছে। ভীমতাল, সাততাল, নাউকুচিয়াতাল, খুরপাতাল,মালয়াতাল, হরিশতাল এবং লোখাতাল নিয়ে কুমায়নের এই অঞ্চল। তবে, নৈনিতাল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। কিন্তু আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে খুরপাতালে।
উত্তরাখণ্ডের বাজপুর কালাদগুঙ্গি রোডের উপরে অবস্থিত এই খুরপাতাল। খুব একটা জনপ্রিয় না হওয়ায় খুরপাতালে মানুষের বেশি ভিড় হয় না। কিন্তু এই হ্রদের সৌন্দর্য সবার থেকে আলাদা বিশেষত, এই হ্রদের জলে লুকিয়ে রয়েছে এক রহস্য। এই হ্রদের জলের রং ক্ষণে-ক্ষণে সময়ের সাথে বদলায়। নৈনিতাল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত খুরপাতাল। ভীমতাল,সাততাল ঘুরে নৈনিতাল ফেরার পথে অনেকেই দেখতে দাঁড়ান। পাহাড়ি রাস্তার বাঁক থেকেই দেখা যায় খুরপাতালের সৌন্দর্য। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এক হাজার মিটারেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত এই হ্রদের চারদিক ঘেরা চাষ জমিতে। এই হ্রদের জলও ব্যবহার হয় কৃষিকাজে। তার সঙ্গে চারদিকে পাইনের সারিও রয়েছে। তাই পাহাড়ের উপরে দাঁড়িয়ে খুরপাতালকে দেখতে ভারী সুন্দর লাগে। কিন্তু এই তালের আসল রহস্য লুকিয়ে রয়েছে জলে!
জনশ্রুতি, সেখানকার জল নিজে থেকে রং পরিবর্তন হয়। বছরের কোনও সময় খুরপাতালের জল থাকে লাল, আবার কোনও সময় হয়ে যায় নীল ও সবুজ। এমনকি কোনও কোনও সময় সোনালিও হয়ে যায় খুরপাতালের জল। কিন্তু এমন স্ফটিক স্বচ্ছ জলের রং বদলের কারণ কী? স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস, খুরপাতালের জল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়। যদি জলের রং লাল হয়, এটা কোনও বিপর্যয়ের আভাস।
মার্চ মাসে জলের রং সোনালি হয়ে যায়। এটা সমৃদ্ধির প্রতীক। যদিও ওই সময় জলে পাইনের পাতা, ফুল পড়ে। এই কারণেও জলের রং সোনালি হয়ে ওঠে। আবার গাছের ছায়া পড়লে জলের রং সবুজ হয়ে ওঠে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, হ্রদের নিচে ৪০টিরও বেশি প্রজাতির শৈবাল রয়েছে। এই শৈবালগুলো সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে জলে রঙের খেলা তৈরি করে। এখানেই শেষ নয়, খুরপাতালের জল শীতকালেও গরম থাকে। এবার নৈনিতাল গেলে ঘুরে দেখতে ভুলবেন না খুরপাতালে যেতে।