
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষবরণ মানেই পাহাড়, আর পাহাড় বলতে অনেকের প্রথম পছন্দ দার্জিলিং। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে শৈলশহরে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা। দার্জিলিং মানেই গ্লেনারিস—এই ভাবনাটা এতটাই জনপ্রিয় যে বছরের শেষ ও শুরুর দিনে সেখানে পা রাখাই মুশকিল হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত ভিড়, দীর্ঘ অপেক্ষা—সব মিলিয়ে অনেকেই আর সেখানে যেতে চান না। বরং পাহাড়ে গিয়ে কিছুটা নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চাইছেন তাঁরা।
যদি আপনিও সেই দলে পড়েন, তবে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। দার্জিলিং শহর ও আশপাশের এলাকায় এমন কিছু কম পরিচিত রেস্তরাঁ রয়েছে, যেখানে ভিড় তুলনামূলক কম, খরচও সাধ্যের মধ্যে, অথচ খাবারের স্বাদে কোনও আপস নেই। বর্ষবরণের আনন্দে নিরিবিলি পরিবেশে পেটপুজো সারতে চাইলে এই রেস্তরাঁগুলিই হতে পারে আপনার সেরা ঠিকানা।
* পরিচিতি তেমন না থাকলেও খাবারের স্বাদে সকলের মন জয় করেছে তিব্বতি রেস্তরাঁ জ্যাং জং। এই রেস্তরাঁয় গেলে অবশ্য বড়া মোমো বা টাইফো আপনাকে চেখে দেখতেই হবে। সঙ্গে পিঁয়াজ এবং চিকেনের স্যুপ। দু’জন মিলে এই রেস্তরাঁয় খেতে খরচ পড়বে মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা খোলা থাকে রেস্তরাঁ। তাই বেড়াতে বেরিয়ে হাঁফিয়ে গেলে এই রেস্তরাঁয় ঢুঁ মারতেই পারেন।
* মাংস এবং পিঁয়াজের ফিলিংয়ে ডিপ ফ্রাই করা মুচমুচে সাফালে না খেলে দার্জিলিং ঘোরা সম্পূর্ণ হয় নাকি! আর এই খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে চৌরাস্তা থেকে রবার্টসন রোড ধরে একটু এগিয়ে নওয়াংশ রেস্তরাঁও হতে পারে আপনার গন্তব্য। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে রেস্তরাঁ। দু’জনে খরচ পড়বে ২৫০ থেকে মাত্র ৩০০ টাকা।
* ক্লক টাওয়ারের কাছে কাঠমাণ্ডু কিচেনের বয়স খুব বেশি নয়। ২০১৬ সালে শুরু হয়েছে পথচলা। নেপালি গ্রামের রান্নাঘরের আদপে সাজানো তৈরি এই রেস্তরাঁর খাবার একবার চেখে দেখা যেতেই পারে। নেওয়ারি ক্যুইজিন এখানে চেখে দেখুন। এছাড়া ঝোলে ভাসা মোমো বা চিকেন মোমোচা, চিকেন চাট্টামারি বা নেপালি পিজ্জায় একবেলা রসনাতৃপ্তি হতেই পারে। সাড়ে ১১টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত খোলা রেস্তরাঁ। দু’জনে খেতে খরচ পড়বে ৮০০ -৯০০ টাকা।
* পড়ন্ত বেলায় দার্জিলিংয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে চান? তাহলে একবার ঢুঁ মারুন মাচান ক্যাফেতে। সমস্যা একটাই চার রেস্তরাঁয় আপনাকে উঠতে হবে সিঁড়ি ভেঙে। স্টিম মোমোকে চিলি সসে টস করা সি মোমো অবশ্যই খান। আর শেষপাতে হক চকলেট খেতেই হবে। খরচ খুবই সামান্য। দু’জনে খেতে মাত্র ৭০০-৮০০ টাকা খরচ হতে পারে।
* বাতাসিয়া লুপে বসে চাইনিজ খাবারে পেট ভরাতে চান? তবে অবশ্যই যেতে হবে বাতাসিয়া রেস্তরাঁয়। স্টার্টারে চেখে দেখুন স্ক্রিসপি চিকেন। মেন কোর্সে থাক মিক্সড ফ্রায়েড রাইস। এখানকার চিলি ফিশও বেশ জনপ্রিয়।
