
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছর মানেই নতুন শুরু। সদ্য বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনেছেন, কিংবা বহুদিনের চেনা বাড়িটাকেই নতুন করে সাজাতে চাইছেন—সব ক্ষেত্রেই এখন বদলাচ্ছে মানুষের ঘর সাজানোর ভাবনা। গতানুগতিক রঙ, আসবাব আর সাজসজ্জার বাইরে গিয়ে এবছর অনেকেই বেছে নিচ্ছেন একটু অন্যরকম, ব্যক্তিত্বপূর্ণ ইন্টেরিয়র ডিজাইন।
১। ওয়ালপেপার: ঘরকে সাধারণভাবে রঙ না করে অন্যরকম লুক দিন। ওয়ালপেপারে আনুন নতুন ডিজাইন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওয়ালপেপারের ডিজাইন পাওয়া যায়। রঙের কাজ যারা করে, তাদেরও কাছেও অনেক রকম স্টক থাকে। সেখান থেকে বেছে নিতে পারেন ডিজাইন। মেটালিক কালার, ফ্লোরাল ডিজাইন, ওয়াইল্ডলাইফ এখন ফ্যাশন ইন। দেওয়াল অন্যরকমভাবে সাজালে ঘরের সৌন্দর্য খুলবে ভালো।
২। পরিবেশবান্ধব বাড়ি: বাড়ি মানেই আপনার প্রাণখুলে থাকার জায়গা। সারাদিন অফিসে খাটাখাটনি করে একটু যদি শান্তিতে সময় না কাটাতে পারলেন, তাহলে আর বিশ্রাম কী করে হবে? কিন্তু এর জন্য শুধু সময় নয়, প্রয়োজন পরিবেশেরও। বাড়িতে গাছ থাকলে এমনিতেই বিশ্রামের আবহ তৈরি হয়। ঘরের মধ্যে রাখতে পারেন ছোট কোনও গাছ। এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী অ্যালোভেরা। সামনে যদি ব্যালকনি থাকে, সেটি ছোট ছোট গাছ দিয়ে সাজাতে পারেন। এছাড়া ঘরে প্লাস্টিকের বদলে কাঠের জিনিস ব্যবহার করুন। টেবিল, চেয়ার তো বটেই, ফুলদানি বা জিনিসপত্র রাখার স্ট্যান্ডও কাঠের ব্যবহার করতে পারেন।
৩। মেঝে ও ছাদ: মেঝের সঙ্গে ছাদ এখন অনেক জায়গাতেই সামঞ্জস্য না রেখে তৈরি হয়। এটাই কিন্তু নতুন স্টাইল। কিন্তু সাবধান। এভাবে বাড়ি সাজাতে গিয়ে কিন্তু ঘেঁটে ফেলবেন না। বিভিন্ন টাইলস যেমন মেঝের জন্য উপযোগী, তেমন ছাদ সাজানো যেতে পারে অনেকরকমভাবে। এক্ষেত্রে ঘরের আকার ও দেওয়ালও একটা বড় বিষয়। তাই সবথেকে ভাল হয় যদি অন্তত এই বিষয়টা নিয়ে আপনি ইন্টিরিয়র ডিজাইনারের সঙ্গে কথা বলেন।
৪। ব্যক্তিগত সময় কাটানোর জায়গা: এসব তো গেল ঘরের সৌন্দর্যচর্চা। এবার মন দিন নিজের পছন্দে। বই পড়তে বা সিনেমা দেখতে ভালবাসেন? তাহলে সোফার থেকেও এখন বেশি ভাল বিন ব্যাগ চেয়ার। নিজের মতো করে এখানে বসে আপনি সময় কাটাতে পারবেন। বই ভালবাসলে অবশ্যই ড্রয়িংরুমে রাখুন বুকশেলফ। টি-টেবিলে রাখতে পারেন ম্যাগাজিন। তবে যেভাবেই নিজের ঘর সাজান না কেন, কখনওই নিজের ইচ্ছার সঙ্গে কখনওই আপস নয়।
