দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আরটিআই করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ 17 মার্চ, রবিবার মাঝরাতে গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান পাঁচতলা বাড়ি ভেঙে 10 জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, ওই বাড়িটি বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হচ্ছিল ৷ এই ঘটনায় তথ্যের অধিকার আইনে আবেদন জানালেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু ৷ তাঁর সরাসরি অভিযোগ মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং তাঁর 'ঘনিষ্ঠ' স্থানীয় কাউন্সিলর শাম ইকবালকে নিয়ে। এক কথায় বলা যায়, কলকাতা পুরনিগমের অস্বস্তি আরও বাড়ালেন তিনি।
দুর্ঘটনার দিনই বড়সড় টুইট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। দাবি করেছিলেন, গার্ডেনরিচ এলাকায় অন্তত ৮০০ বহুতল বেআইনিভাবে তৈরি হয়েছে। এই ব্যাপারে প্রশাসন জানত না, এটা হতে পারে না। তাঁর দাবি ছিল, গোটা ঘটনার নেপথ্যে স্থানীয় কাউন্সিলর, প্রোমোটার, এলাকার পুলিশের যোগসাজস রয়েছে। এবার এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই আরটিআই করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০১০ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোথায় কতগুলি বাড়ি তৈরির প্ল্যানে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, কতগুলি বাতিল করা হয়েছে, সব তথ্য তিনি জানতে চেয়েছেন।
শুভেন্দু টুইট করে বলেন, ''গার্ডেনরিচের দুর্ঘটনার পর কলকাতা পুরসভার ব্যর্থতা সকলের সামনে এসে গেছে। বিরোধী দলনেতার কর্তব্য হিসেবে আমি তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা শুরু করেছি। এই তথ্য হাতে চলে এলে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অনেক বেশি সজাগ হওয়া যাবে। সেই কারণেই আমি আরটিআই করলাম।'' ১ জানুয়ারি ২০১০ সাল থেকে ১৮ মার্চ ২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়েছেন তিনি। মোট সাত দফা প্রশ্ন তুলে ধরেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম কার্যত বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ মেনে নেন। প্রথমে বাম আমলের ওপর এর দায় চাপালেও পরে কিছুটা ভিন্ন সুর ছিল ফিরহাদের। বুধবার অবশ্য বিল্ডিং বিভাগের সব আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মেজাজ হারান মেয়র। বিল্ডিং বিভাগের শোকজ হওয়া আধিকারিকদের মধ্যে এক সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে বৈঠকের মাঝেই তিনি কার্যত ধমক দেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''হয় আপনি অপদার্থ, নয়তো চোর। আপনার গাফিলতিতেই এত মৃত্যু!''