কলকাতা, ১৯ এপ্রিল: সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানা তৈরির মামলার আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পন্নোয়ন নিগম। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্টের একের পর এক বিচারপতি এই মামলা শুনতে আপত্তি জানিয়ে সরে দাঁড়াচ্ছেন। শুক্রবার এই মামলা ছাড়েন রবি কিষেন কাপুর।
এর আগে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ব্যক্তিগত কারণে এই মামলা থেকে সরে গিয়েছিলেন। এখন দেখার মামলাটি কার এজলাসে ওঠে।
২০০৬ সালে সপ্তম বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানা তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কিন্তু, এরপর গঙ্গা দিয়ে বহু জল গড়িয়ে যায়। কৃষি জমিতে কারখানা গড়া হচ্ছে, এই সব আরও একাধিক দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের প্রেক্ষাপট লেখার ক্ষেত্রে অন্যতম ক্ষেত্র ছিল সিঙ্গুর, মত তাঁদের। ২০০৮ সালে সিঙ্গুর থেকে সরার কথা জানায় টাটারা। এরপর এক দশকের বেশি সময় কেটে গিয়েছে। সিঙ্গুর নিয়ে নানা মুনির নানা মতামত উঠে এসেছে।
২০১৬ সালে বাম জমানাতে টাটাদের গাড়ি কারখানার জন্য নেওয়া জমি শীর্ষ আদালতের নির্দেশে ফেরত দেওয়ার সময় অনেকাংশে ‘চাষযোগ্য’ করে দেওয়া হয়, দাবি করা হয়েছিল এমনটাই।