কলকাতা, ১০ অক্টোবর: বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিনিয়র কিছু চিকিৎসক ধর্মতলায় জুনিয়রদের সঙ্গেই প্রতীকী অনশনে বসেছেন। ১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকবেন তাঁরা। ক্রমশ জোরালো হচ্ছে চিকিৎসকদের ‘বিচারের ১০ দফা দাবি’।
ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বর্তমানে সাত জন অনশন চালাচ্ছেন। ১০০ ঘণ্টা ছাড়িয়ে গিয়েছে তাঁদের এই কর্মসূচি। জুনিয়রদের পাশে আছেন সিনিয়রেরাও।
এর আগে স্বাস্থ্যভবনে নিস্ফল বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার বেশি রাতে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দেবাশিস হালদার সংবাদমাধ্যমে বলেন, “ওঁরা বলছেন এখনই নির্দিষ্ট কিছু বলা সম্ভব নয়। বৈঠকে বলা হল পুজো কাটিয়ে নেওয়া হোক। ফের আমরণ অনশন তুলে নিতে বলা হয়েছে। আমরা বলেছি আপনারা অনশনমঞ্চে এসে অনুরোধ করুন।’’
মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে রাতে এবং বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষোভ উগরে দেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। তাঁদের মতে, এই বৈঠক ‘নিষ্ফলা’। কোনও দাবি নিয়েই কোনও সদুত্তর মেলেনি সরকারের তরফে। কেউ কেউ বৈঠক থেকে বেরিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘সরকারের এতটা অনমনীয়তা আশা করিনি। শুধুই সময় নষ্ট। নিষ্ফলা বৈঠক। কোনও সদর্থক পদক্ষেপ রাজ্য সরকার নেয়নি। রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাব, তাই আমরা আন্দোলনে। একটাও সদর্থক উত্তর পাব না ভাবিনি।’’ বলতে বলতে প্রায় কেঁদেই ফেলেন দেবাশিস। তিনি বলেন, ‘‘এত দিন সরকার বসেছিল কত দিনে আমরা অনশনে বসব? শুধু মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। নতুন কিছু বলা হয়নি। আমরা বলেছি সময় লাগে সবাই জানে, কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু জানান।”