কলকাতা, ১৩ আগস্ট : রবিবার বেহালা পশ্চিমে যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর এই প্রথম বেহালায় যাচ্ছেন তিনি। প্রাক স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামিকাল বিকেলে সাড়ে পাঁচটায় বেহালা ম্যান্টনে যাওয়ার কথা রয়েছে মমতার। বেহালার সঙ্গে মমতার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মমতার রাজনৈতিক জীবনে বেহালার গুরুত্ব ছিল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি যখন অতীতে যাদবপুরের সাংসদ ছিলেন, তখন বেহালা ছিল বাম দুর্গ। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজের হাতে বেহালায় সংগঠন তৈরি করেছিলেন মমতা। এমন পরিস্থিতিতে বেহালায় মমতার সভা সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব রাখে। মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচির মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই। প্রতিবছরই স্বাধীনতা দিবসের আগে বেহালার ম্যান্টনে যান তিনি। এইবারও সেই মতো বেহালায় যাচ্ছেন তিনি। তবে রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর মমতার বেহালা যাওয়া স্বাভাবিকভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। শোভন চট্টোপাধ্যায় যখন বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তখনও বেহালায় গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা করেছিলেন। নারীশক্তির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। নারী শক্তির স্বার্থে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে সমর্থনের বার্তা দিয়েছিলেন বেহালায় দাঁড়িয়ে। এমন পরিস্থিতিতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর রবিবার বেহালা গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন সেই দিকেই নজর অনেকের। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর থেকেই তৃণমূলের তরফ থেকে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, দোষী প্রমাণিত হলে দল যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এমনকী পার্থ বাবুকে মন্ত্রিত্ব থেকেও সরানো হয়েছে। দলের যে যে দায়িত্বে তিনি ছিলেন, সেইগুলি থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এমন পরিস্থিতিতে আগামিকাল বেহালা ম্যান্টনে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন বার্তা দেন, সেই দিকেই নজর রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের।