kolkata

1 month ago

Mahua Moitra:মহুয়াকে আবার সমন ইডির,সমন পাঠানো হয়েছে ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকেও

Mahua Moitra
Mahua Moitra

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃপ্রশ্ন ঘুষ কাণ্ডে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে সমন পাঠাল ইডি।  মহুয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকেও সমন পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৮ মার্চই ইডির সদর দফতরে মহুয়াকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, অতীতেও এই একই মামলায় তৃণমূল নেত্রীকে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু সেই সময় হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম এনডিএ সূত্রের খবর, শুধু মহুয়া নন, একই মামলায় ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। তবে তিনি বৃহস্পতিবার যাবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই মামলায় এর আগে দু’বার তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি।

ইডি সূত্রে খবর, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে মহুয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারদের নজরে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের কয়েকটি ঘটনা রয়েছে। একটি নন-রেসিডেন্ট এক্সটারনাল (এনআরই) অ্যাকাউন্টের লেনদেনও তাঁদের নজরে রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিষয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে মহুয়া এবং দর্শনকে তলব করা হয়েছে।

‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’কাণ্ডে ইতিমধ্যে মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিআই। গত ডিসেম্বরে লোকসভার সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় মহুয়াকে। মহুয়াকে বহিষ্কার করার ব্যাপারে সুপারিশ করেছিল লোকসভার এথিক্স কমিটি। ৪৯৫ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তারা জমা দেয়। ওই রিপোর্ট পড়ে দেখার জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল। কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলির তরফেও স্পিকারের কাছে সময়ের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু স্পিকার সময় দেননি। বহিষ্কারের পর মহুয়া জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন তিনি। আগামী ৩০ বছর লোকসভার ভিতরে এবং বাইরে লড়াই করবেন। এই বহিষ্কারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানে এখনও মামলাটি বিচারাধীন।

এথিক্স কমিটির রিপোর্টে তৃণমূলের সাংসদের লোকসভার লগইন আইডি অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার বিষয়টিকে ‘অনৈতিক আচরণ’ এবং ‘সংসদের অবমাননা’ হিসাবে অভিহিত করা হয়। এথিক্স কমিটির রিপোর্টে মহুয়াকে কড়া শাস্তি দেওয়ার সুপারিশও করা হয়। রিপোর্টে আরও সুপারিশ করা হয় যে, মহুয়ার সাংসদপদ যেন খারিজ করা হয়। রিপোর্টে মহুয়ার বিরুদ্ধে সরকারি তদন্তের কথাও বলা হয়েছে। তাতে মহুয়া এবং দর্শনের মধ্যে নগদ অর্থ লেনদেনের বা ‘মানি ট্রেল’-এরও তদন্ত করানোর সুপারিশ করা হয়। রিপোর্টে দাবি, ওই আর্থিক বিষয়ে তদন্ত করার মতো প্রযুক্তিগত কাঠামো কমিটির নেই। তাই যেন সরকার তার তদন্ত করে।

এর মধ্যেই গত ১৯ মার্চ ‘সংসদে ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’কাণ্ডে মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় লোকপাল। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করে সিবিআই। এর পরে শনিবার সকালে মহুয়ার কলকাতার বাড়ি এবং অফিস মিলিয়ে মোট চারটি আস্তানায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই।


You might also like!