kolkata

3 days ago

Mamata Banerjee:ফুটপাথ দখল করা চলবে না, সৌন্দর্যায়নে দেওয়া হচ্ছে জোর : মুখ্যমন্ত্রী

Mamata Banerjee
Mamata Banerjee

 

কলকাতা, ২৭ জুন: ফুটপাথ দখল করা চলবে না। স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সৌন্দর্যায়নে দেওয়া হচ্ছে জোর। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিউটিফিকেশনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই কাজ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, উচ্ছেদের কথা বলা হয়নি। ওদের পেট চলবে কি করে। ফুটপাথ দখল করা চলবে না। তাতে মানুষ রাস্তায় নেমে পড়বে। দুর্ঘটনা বাড়বে। এটা খেয়াল রাখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আবেদন জানান, গরীব লোকেদের কাছে পুলিশ ও নেতারা চাঁদা তুলবেন না। দয়া করে সবাইকে বলছি। হকার নেতারা এক জন একের অধিক ডালা রাখবেন না, অনেকের চারটে পাঁচটা করে ডালা আছে, সেগুলি সরিয়ে অন্যকে খাওয়ায় সুযোগ করে দিন।

হকার উচ্ছেদ মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য নয়, তবে রাস্তা ও সরকারি জায়গা জবরদখল কখনই মানা হবে না বলে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার মেয়র, জেলা শাসক ও পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কারও রুটি রুজি কেড়ে নেওয়ার অধিকার সরকারের নেই। কিন্তু পুরো ব্যাপারটার একটা সৌন্দর্য্য বজায় রাখতে হবে। সমস্ত পুরসভা এলাকায় ফুটপাতে হকার বসার সুনির্দিষ্ট নিয়ম করে দেওয়ার তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। হকারদের নির্দিষ্ট জোন করে দিতে হবে। আগুন লাগবে না এমন জিনিস দিয়ে স্টল বানাতে হবে। প্রতিটি স্টলের নম্বর থাকবে। এক এক জন হকার এক একটি করেই স্টল পাবেন। বৈধ হকারদের চিহ্নিত করতে পরিচয় পত্র দিতে হবে। স্থানীয় নেতা এবং পুলিশ যাতে হকারদের কাছ থেকে চাঁদা না তোলে সে ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। প্রত্যেক জেলায় হকার জন্য জায়গা চিহ্নিত করতে পুরো সচিব জেলায় জেলায় গিয়ে সমীক্ষা চালাবেন। কলকাতার নিউমার্কেট, গ্র্যান্ড হোটেল, হাতিবাগান চত্বরে হকারদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে কলকাতা পুরসভা ও বিভিন্ন হকার কমিটির সদস্যদের দিয়ে তিন মাসের মধ্যে সমীক্ষা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। অন্যদিকে, হকারদের আপাতত একমাস সময় দেওয়া হল। তিনি বলেন, ‘এক মাস আপাতত উচ্ছেদ হবে না। তার মধ্যে আমরা আমাদের সার্ভের কাজ চলবে।’

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আগে টাকা নিয়ে রাস্তায় হকার বসাবে। তার পর বুলডোজার দিয়ে তুলে দেবে। এটা সরকারের নীতি নয়। হকারদের জীবন ও জীবিকার জন্য রাজ্যে আইন রয়েছে। তিনি যে হকারদের পাশেই আছেন সেই বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘হকারদের আমি ভালবাসি কেন জানেন? তার কারণ, রাস্তায় একটা দুর্ঘটনা ঘটলে আর সবাই মুখ ফিরিয়ে চলে গেলেও হকারেরা ছুটে আসেন। ওঁরা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। কোনও মেয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার হলে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু আমি যেটা করছি, সেটা ওঁদের বিরুদ্ধে নয়। কলকাতাকে সুন্দর করতে হবে। আপনারা সহযোগিতা করুন, সরকার আপনাদের সঙ্গে থাকবেন।’’


You might also like!