ইসলামাবাদ : এবার প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাষণের সম্প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাহবাজ শরিফের সরকারের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় রাওয়ালপিন্ডির সভায় ইমরানের বক্তৃতার সময় ইউটিউব সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে পাক সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বক্তব্য যাতে দেশবাসী শুনতে না পান, সে কারণেই ইউটিউব সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয় বলে সরব হয়েছেন ইমরান খান।
দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘উস্কানিমূলক’ ও ‘ঘৃণ্যভাষণ’ দেওয়ার অভিযোগে ইমরানের ভাষণের সরাসরি সম্প্রচারের উপর শনিবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল পাকিস্তানের বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। টিভি চ্যানেলগুলিও যাতে ইমরানের ভাষণের সরাসরি সম্প্রচার না করে, সে ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে বলা হয়েছিল যে, ইমরানের ভাষণে দেশে শান্তি ও সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়ে টুইটারে ইমরান লিখেছিলেন, ‘আমার বক্তব্যের মাঝপথে ইউটিউব ব্লক করেছে সরকার।’ সম্প্রতি ইমরান দেশের সরকার, পুলিশ, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন । ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধান ও এক মহিলা বিচারককে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর পরই তাঁর ভাষণের সম্প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ইমরানের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। এবার জন সভায় ইমরানের বক্তব্য পেশের সময় ইউটিউব বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় সে দেশে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও চড়ল।