দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সিজন চেঞ্জের সময় ঠান্ডা লাগা, জ্বর, সর্দি খুবই সাধারন ব্যাপার। তবে জ্বর, সর্দি কমলেও কাশি কমতে বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় নিয়ে নিচ্ছে। কাশি কমাতে কফ সিরাপ খেয়েও খুব একটা কাজ হচ্ছে না। বেশি কষ্ট হচ্ছে শুকনো কাশিতে। বিছানায় শুলেই কাশি শুরু হয়ে যাচ্ছে। এতে ঘুমেরও বারোটা বাজছে। তার সঙ্গে গলার অবস্থাও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আপনাকে কাজে লাগাতে পারেন ঘরোয়া টোটকা। কফ সিরাপ খেয়ে যখন উপকার পাচ্ছেন না, তখন এই ৫ টোটকায় কাশি থেকে নিস্তার মিলবেই।
গরম জল: ঠান্ডা জল গিলতে সমস্যা। এতে গলার সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই ঈষদুষ্ণ জল খান। এতে কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে এবং গলায় আরাম মিলবে। পাশাপাশি এই শীতে শরীরও গরম থাকবে।
মধু: প্রতিদিন এক চামচ করে খাঁটি মধু খান। মধু কাশি কমাতে দারুণ সহায়ক। এমনকি জ্বর-সর্দির সমস্যাতে কাজে আসে মধু। মধুর মধ্যে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা সংক্রমণের হাত থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। গরম জল বা চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।
নুন জলে গার্গেল করুন: গলায় ব্যথায় ভুগলে নুন জলে গার্গেল একটি অব্যর্থ উপায়। শুকনো কাশির হাত থেকে মুক্তি পেতেও এই টোটকা কাজে লাগাতে পারেন।
আদা চা: আদা চা শুকনো কাশি থেকে শুরু করে গলা ব্যথা কমাতে দারুণ উপকারী। আদার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা দেহের একাধিক রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। গরম জলে দু’টুকরো আদা থেঁতো করে ফুটিয়ে নিন। এই চা দিনে ৩-৪ বার পান করুন।
গরম জলে স্নান করুন: এই শীতে ভুলেও ঠান্ডা জলে স্নান করার ভুল করবেন না। গরম জলে স্নান করলে কাশি, সাইনাসের সমস্যা এবং বুকে জমে থাকা কফের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
ভেপার নিন: গরম জলের ভাপ নিলে বুকে জমা কফ বেরিয়ে যায়। শুকনো কাশির চিকিৎসাতেও আপনি টোটকা কাজে লাগাতে পারেন। ঠান্ডায় নিয়মিত ভেপার নিলে সর্দি-কাশির সমস্যা বেশি ভোগাবে না।