দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পৌষ সংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে সারা ভারতে নানাভাবে 'তিল' খাওয়া হয়। কেউ করেন নাড়ু,কেউ বরফি আবার কেউ রান্নায় দেয় তিল। কিন্তু কেন? পুষ্টিতত্ত্ব বিদেরা বলেন-
১) তিলে ক্যালশিয়াম এবং ফসফরাস ভরপুর মাত্রায় থাকে। তাই তিল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতের মরসুমে তিল খেলে শরীরের ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ে।
২) তিলে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। তাই ডায়াবিটিস রোধে সাহায্য করে তিল। যে কোনও সংক্রমণে ডায়াবিটিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি ভাবতে হয়। ফলে শীতকালে ডায়াবিটিসের রোগীদের বিশেষ ভাবে প্রয়োজন পড়ে তিলের।
৩) শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এই সময়ে জেল্লাও কমে যেতে পারে। তিলের তেল বাড়াতে পারে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য। তাই এই সময়ে ত্বকের যত্ন নিতেও খেতে হবে তিল।
৪) সাদা তিলের মধ্যে এমন যৌগ থাকে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। শীতে এমনিতেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই কোনও মতেই কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়তে দিলে চলবে না এই সময়। তাই শীতের মরসুমে তিল রাখা বেশি উপকারী।
৫) শীতকালে খাওয়াদাওয়া বেশি হয়, তাই পেটের সংক্রমণ বেশি হয়। তিল কিন্তু হজমে সাহায্য করে। তাই শীতকালের খাদ্যতালিকায় তিল রাখা যেতেই পারে।
শীতে কয়েকদিন নিয়মিত 'তিল' খান। শরীর সুস্থ রাখুন।