দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : মধুচন্দ্রিমা সবসময়ই এক বিশেষ অভিজ্ঞতা—নারী ও পুরুষ, দুজনের কাছেই। অনেকেই হানিমুন নিয়ে মনে মনে নানা স্বপ্ন বুনে ফেলেন—কোথায় যাবেন, কী করবেন, কেমন কাটবে সেই সময়। আবার কেউ কেউ কোনও পরিকল্পনায় না গিয়ে স্রোতের মতো ভেসে যাওয়াকেই পছন্দ করেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মধুচন্দ্রিমাই অনেকাংশে প্রকাশ করে আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। বিয়ের পর সঙ্গীর কাছে নিজেকে আরও ভালভাবে তুলে ধরার এক দুর্দান্ত সুযোগ এই সময়। তাই হানিমুন যেন শুধু একটি সফর না হয়, হয়ে উঠুক এক স্মরণীয় ও অর্থপূর্ণ অভিজ্ঞতা—সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
১) কারও ভাল লাগে পাহাড়, কারও আবার সমুদ্র। অনেকের আবার জঙ্গল। হানিমুন যেহেতু দু’জনের তাই গুরুত্ব দেওয়া উচিত দু’জনের ইচ্ছেকেই। তাই আগে মিলিয়ে নিন সেই ইচ্ছে। তারপর ব্যাক্স প্যাটরা গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।
২) হানিমুন স্পেশ্যাল শপিং কিন্তু করতেই হবে। কিনে ফেলুন স্টাইলিশ অন্তর্বাস, নাইট ওয়ার। কারণ, মধুরাতে, মধুর খেলায় এগুলো কিন্তু আগুনে বারুদের কাজ করবে।
৩) লাগেজ গোছানোর ব্যাপারে দু’জন দু’জনকে সাহায্য করুন। এ ব্যাপারে পুরুষরা একটু এগিয়ে গিয়ে স্ত্রী সাহায্য করুন। এতে আপনার কেয়ারিং নেচার ধরা পড়বে। স্বামীর থেকে লুকিয়ে একটা স্পেশ্যাল গিফট কিনে লাগাজে ঢুকিয়ে নিন। হানিমুনে গিয়ে ঘরের ভিতর সারপ্রাইজ দিন তাঁকে। পাহাড়ে গেলে সুন্দর একটা শোয়েটার আর সমুদ্রে গেলে সুন্দর একটা শর্টস কিনতেই পারেন। আর পুরুষরা স্ত্রীয়ের জন্য কিনে ফেলুন বিকিনি! সমুদ্রের ধারে গেলে এটা অবশ্যই কাজে লাগবে।
৪) হানিমুন ব্যাপারটা একটু ধীর গতিতে সেরে ফেলুন। টুর প্ল্যান এমনভাবে করুন, যাতে তাড়াহুড়ো না থাকে। দরকার পড়লে গোটা একটা দিন হোটেল রুমেই সময় কাটান। কখনও বিছানায়, কখনও রুমের বারান্দায়। শরীরে থাকুক অল্প বস্ত্র! রোম্যান্স কিন্তু জমে যাবে। পাহাড়ে গেলে একই কম্বলের নিচে দুজনে শরীর ঢেকে নিন। কুয়াশা মাখা বারান্দায় বসে ঠোঁটে ঠোঁট রাখুন। হানিমুন জমে ক্ষীর।
৫) ক্যামেরা নিতে ভুলবেন না। আজকাল অবশ্য ফোনের সঙ্গে দুর্দান্ত ক্যামেরা থাকেই। প্রতিটি মুহূর্তকেই ক্যামেরায় বন্দি করুন। হানিমুন থেকে ফিরে সেরাগুলো ফ্রেম করুন।
৬) মেয়েরা শপিং করতে খুবই ভালবাসেন। পুরষরা হানিমুনে গিয়ে একেবারেই মেয়েদের এ ব্যাপারে বাধা দেবেন না। উলটে সাহায্য করুন। জিনিস পছন্দ করুন দুজনে একসঙ্গে মিলে।