দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ জাঁকিয়ে শীত পড়লেই প্রবীণ নাগরিকের আচমকা মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আমারা সকলেই পরিচিত। চলতি বছরের এই শীতও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শীতে আনন্দ উপভোগের আদর্শ সময় হলেও এ মরসুম ঠিক উল্টো বয়স্কদের ক্ষেত্রে। এই সময়েই প্রবীণ নাগরিকের গুরুতর অসুস্থ ও মৃত্যুর সঙ্গে শীতের যোগ অঙ্গাঙ্গী। তাই কি ভাবে সচেতন থাকবেন জানুনঃ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর পাঁচজনের কাছে শীত আনন্দ উপভোগের আদর্শ সময় হলেও বয়স্কদের ক্ষেত্রে কিন্তু এ মরসুম ঠিক উল্টো। প্রবীণ নাগরিকের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া এবং মৃত্যু— দুটোর সঙ্গেই শীতের যোগ অঙ্গাঙ্গী। যত বেশি ঠান্ডা, ঝুঁকি ততই বেশি।
তাই চিকিৎসকরা সাবধান করছেন, বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের সামগ্রিক রোজনামচা ও স্বাস্থ্যের ব্যাপারে এই মরসুমে বাড়তি নজর না-দিলে বিপদ ঘনাতে পারে। বিভিন্ন সমীক্ষা ও গবেষণায় ইতিমধ্যেই প্রমাণিত, কনকনে ঠান্ডায় সত্তরোর্ধ্বদের মধ্যে প্রাণঘাতী অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি, এমনকী মৃত্যুর নজিরও বছরের অন্য সময়ের চেয়ে ঢের বেশি। বয়স্করোগ বিশেষজ্ঞ কৌশিক মজুমদার জানাচ্ছেন, হার্ট ফেলিয়োর থেকে নিউমোনিয়া, স্ট্রোক থেকে হার্ট অ্যাটাক, ডায়েরিয়া থেকে সেপসিস— সব কিছুর আশঙ্কাই ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বাড়ে প্রতি পদে। এবং মামুলি অসুস্থতাও কখন যে প্রাণসংশয়ের পরিস্থিতি তৈরি করে, তা বোঝা যায় না আগেভাগে।।
শীতে এমনিতেই রক্তবাহিকা সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ফলে সারা শরীরের পাশাপাশি হার্টেও যেমন অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, তেমনই বেড়ে যায় রক্তচাপও। ঘাম না-হওয়ার জেরে শরীর থেকে জল কম বেরোয় বলে সেই রক্তচাপ আরও বাড়ে। ফলে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের হার শীতে এমনিতেই বেড়ে যায়। বয়স্করা শীতে বেশি জবুথবু হয়ে গেলে তাঁদের সেই ঝুঁকিটা চার গুণ বেশি থাকে।
সামান্য সর্দিকাশি যে কখন নিউমোনিয়া, সেপসিস হয়ে মাল্টি-অর্গ্যান ফেলিয়োরের চেহারা নেয়, তা বলা মুশকিল। তাই বাড়িতে নিজের মতো ওষুধ না-খেয়ে ডাক্তার দেখানো জরুরি। কেননা, বয়সকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমার পাশাপাশি সব অঙ্গেরই কর্মক্ষমতা ক্রমে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ে। তাই সাধারণ ধাক্কাও তাঁরা সামলাতে পারেন না।