দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: বৃষ্টি নামতেই আকাশ যেমন মুখ গোমরা, তেমনই আলমারির ভেতর জামাকাপড়ের অবস্থা দেখে আপনারও মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে? একেবারেই স্বাভাবিক! বর্ষার এই স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় শুধু কাপড়ই নয়—সবজিপাতি, আচার কিংবা শুকনো মসলা—সবই হয়ে উঠতে পারে ভেজাভাবের শিকার। এমনকি কাঠের আসবাবপত্রেও ছত্রাকের উপদ্রব দেখা দেয় এই সময়। ফলে ঘরের পরিবেশ যেমন কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে, তেমনই দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিসপত্রেরও ক্ষতি হয় চুপিসারে।সবক্ষেত্রেই ‘ভিলেন’ অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প। জামাকাপড় আবার অনেকের প্রাণাধিক প্রিয়! অতঃপর ছত্রাক পড়লে কীভাবে যত্ন নেবেন? সেটা জানা ভীষণ জরুরী। রইল টিপস।
১) প্রথমেই বলব, আলমারির অন্দরে ভিজেভাব থাকলে কিংবা ছত্রাক বাসা বাঁধলে সমস্ত জামাকাপড় এবং জিনিসপত্র নামিয়ে নিয়ে আগে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
২) ছাতা ধরা পোশাকগুলিকে আগে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থাকলে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে আর্দ্রতা দূর করে নিতে পারেন। ভেজাভাব পুরোপুরি চলে গেলে তারপরই ভালো করে দেখে পোশাক গুছিয়ে রাখুন।
৩) এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, আগেকার দিনে যেমন মা-কাকিমারা করতেন, আসবাবের তাকে কাগজ বিছিয়ে তার উপর জামাকাপড় গুছিয়ে রাখতেন, সেই পদ্ধতি কিন্তু দারুণ কার্যকরী। এতে সহজেই আলমারির স্যাঁতস্যাঁতেভাবে পোশাক নষ্ট হয় না কিংবা সেই পোশাকের রং মুছে আরেকটা কাপড়ে লাগার ভয় থাকে না!
৪) ছত্রাক বাসা বাঁধার পাশাপাশি, আরেকটা সমস্যা হল আলমারিতে বিকট গন্ধ। জামাকাপড়ের ভাঁজে অনেকসময় পোকামাকড়দেরও অবাধ বিচরণ শুরু হয়। তাই এই ভ্যাপসাভাব ও পোকামাকড়দের থেকে রক্ষা করতে চাইলে আসবাবের ভিতর এদিক-ওদিক কয়েকটা ন্যাপথালিন ছড়িয়ে দিন। শুকনো নিমপাতাও এর মোক্ষম দাওয়াই। নিমপাতা খানিক তাওয়ায় গরম করে কিংবা যে কোনও উপায়ে শুকিয়ে নিয়ে কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে রাখুন। দেখবেন ছাতা পড়ার ব্যামো আর হবে না! এক্ষেত্রে লবঙ্গও রাখতে পারেন।
৫) বর্ষায় লেদারের জুতো, বেল্ট, ব্যাগ ব্যবহার করার পর আলমারিতে তুলে রাখতে চাইলে ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন আগে। তার পর হেয়ার ড্রায়ার স্প্রে করে রাখুন। এতে ঘামভাব চলে যায়। যার ফলে আলমারির বাকি কাপড়গুলিতে এর প্রভাব পড়ে না।