Breaking News
 
Himachal Pradesh:হিমাচলের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যথিত অনুরাগ, নিহতদের প্রতি সমবেদনা বিজেপি নেতার Gaza: ত্রাণের লাইনে মৃত্যুর মিছিল! গাজায় ৭৯৮ প্যালেস্টিনীয়কে গুলি করে হত্যা, জানাল রাষ্ট্রসংঘ AC local: বনগাঁ শাখায় নতুন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লোকাল, মালদহ রুটে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস! সম্ভাব্য সূচনা ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে Kapil Sharma's cafe: কানাডায় কপিল শর্মার ক্যাফেতে খলিস্তানি হামলা, দায় স্বীকার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হরজিত লাড্ডির! Niti Ayog: নীতি আয়োগের রিপোর্টে মানচিত্র বিভ্রাট! মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির পর সরল নীতি আয়োগের ত্রুটিযুক্ত মানচিত্র Shashi Tharoor: ‘গণতন্ত্রের অন্ধকার অধ্যায়’ – ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সমালোচনায় শশী থারুর!

 

Life Style News

6 hours ago

Behind The Fear:অন্ধকার ঘরে ঘুরছে ছায়ামূর্তিরা! কেউ চেপে ধরছে গলা, অতিলৌকিক নয়—এ ভ্রম মস্তিষ্কেরই, কারা ভোগেন এই অভিজ্ঞতায়?

behind the fear:
behind the fear:

 

দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গিয়ে টের পেলেন—ঘরে আপনি একা নন। জানলার ফাঁক দিয়ে ঢুকে পড়া নিঃশব্দ আলোয় আবছা দেখা যাচ্ছে এক অচেনা অবয়ব। দেওয়ালের গা বেয়ে যেন নেমে আসছে একের পর এক ছায়া। ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে হাত-পা যেন সেঁধিয়ে যাচ্ছে শরীরের সঙ্গে। আচমকাই মনে হল বুকের উপর কয়েক মণ ভারী বোঝা চেপে বসেছে। কেউ যেন চেপে ধরছে গলা। ভয় এতটাই যে, অবশ হয়ে গিয়েছে গোটা শরীর। শরীর যেন পাথরের মতো, বাধা দেওয়ার ক্ষমতাটুকুও নেই।। অনেকের সঙ্গেই ঘটে এমন। কেউ ভাবে্ন, ভূতপ্রেতের আনাগোনা বুঝি শুরু হল বাড়িতে। আবার কেউ ভয়ঙ্কর কোনও অতিলৌকিক ঘটনা বলে ভেবে বসেন। আসলে এই সব অভিজ্ঞতা বাস্তব নয়। মস্তিষ্কের এক ধরণের বিভ্রান্তি—যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে দৃষ্টিবিভ্রমও। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে বলা হয় ‘স্লিপ প্যারালিসিস’।

আগেকার দিনে মা-ঠাকুরমারা বলতেন ‘বোবায় ধরা’। ঘুমের মধ্যে গোঙানি, খিঁচুনি হত অনেকের। ভূতের গল্পের সুবাদে ভূতে ধরা বা ‘নিশিতে পাওয়া’-বলে মনে করা হত। আসলে ‘স্লিপ প্যারালিসিস’ কয়েক মুহূর্তের জন্য গোটা শরীর অসাড় করে দেয়। শুধু মুখের আওয়াজই নয়, যে কোনও রকম নড়াচড়াও বন্ধ হয়ে যেতে পারে এতে। পুরোটাই কিন্তু ঘটে অল্প সময়ের জন্য। কিন্তু ওইটুকু সময়ের আতঙ্কের জেরে অনেকের হ্যালুসিনেশন বা দৃষ্টিবিভ্রমও ঘটতে পারে।

স্লিপ প্যারালিসিস কেন হয়?

পুরোটাই স্নায়বিক পরিস্থিতির কারণে হয়। চিকিৎসক রণবীর ভৌমিকের মতে, ঘুম ও জেগে থাকার মাঝামাঝি একটা পর্যায়ে যখন মস্তিষ্ক খুব সজাগ থাকে, সে সময়েই অল্প কিছু ক্ষণের জন্য ‘পক্ষাঘাত’ হতে পারে। ঘুম যখন গভীরে পৌঁছয়নি, মস্তিষ্ক সক্রিয় রয়েছে তখনই মানুষ স্বপ্ন দেখে। তেমনই একটি পর্যায়ে যদি পেশির শক্তি কমতে থাকে, মস্তিষ্ক থেকে সঙ্কেত পেশিতে ঠিক মতো না পৌঁছয়, তখন পেশির অসাড়তা দেখা যায়। সেই সঙ্গে দৃষ্টিবিভ্রমও হতে পারে। অনেকেই এই সময়ে আধো-জাগ্রত অবস্থায় নানা রকম অদ্ভুতদর্শন প্রাণী দেখেন অথবা ছায়ামূর্তি ঘুরে বেড়াতে দেখেন।

মানসিক চাপ অত্যন্ত বেড়ে গেলেও এমন হতে পারে। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, স্লিপ অ্যাপনিয়া আর স্লিপ প্যারালিসিস কিন্তু এক নয়। অ্যাপনিয়ার ক্ষেত্রে ফুসফুসের উপর চাপ বাড়ে, শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়, পালস রেট বেড়ে যেতে পারে, নাক ডাকার সমস্যা দেখা দেয়। হার্টের সমস্যা থাকলে বা ওজন খুব বেশি হলে এই রোগ হতে পারে। তবে স্লিপ প্যারালিসিস তখনই হয়, যখন ঘুমের স্বাভাবিক চক্র ঘেঁটে যায়। যাঁরা কম ঘুমোন, বেশি রাত জাগেন অথবা অত্য়ধিক দুশ্চিন্তা করেন, তাঁদের এমন হতে পারে।


স্লিপ প্যারালিসিসে বেশি ভোগেন কম বয়সিরাই। কিশোর-কিশোরী বা তরুণেরা, খুব বেশি হলে তিরিশ বছরের মধ্যে তাঁদের বয়স। অল্প বয়সি ছেলেমেয়েদের জীবনে পড়াশোনা বা আনুষঙ্গিক ক্ষেত্রের খুব চাপ থাকে। ব্যক্তিগত সম্পর্ক, পারিবারিক পরিবেশও অনেক সময়ে মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। তা ছাড়া এখন রাত জেগে মোবাইলে স্ক্রল করা, বেশি রাত অবধি জেগে টিভি দেখার প্রবণতা বেড়েছে। এ সবও মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। এই সমস্ত কিছুই ঘুমের নিয়মিত ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে নষ্ট করে, যার পরিণতিতে স্লিপ প্যারালিসিস হতে পারে।

চিকিৎসা কি আছে?

স্লিপ প্যারালিসিস কোনও রোগ নয়, তাই এর কোনও ওষুধ বা থেরাপি আছে, এমনটা নয়। স্লিপ প্যারালিসিস থেকে রেহাই পেতে হলে সঠিক সময়ে ঘুমোতে হবে, টানা ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। নেশার মাত্রা কমাতে হবে, মোবাইলের ব্যবহার সীমিত করতে হবে। তবে স্লিপ প্যারালিসিসের সমস্যা বেশি, ঘন ঘন বা তীব্র হলে অনেক সময়ে মেলাটোনিন হরমোন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহারের নির্দেশ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।


You might also like!