দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- ৮০ এবং ৯০-এর দশকের বেশ কিছু জনপ্রিয় ছবিতে চুটিয়ে কাজ করেছেন অভিনেত্রী মীনাক্ষী শেষাদ্রি। ১৯৮০-এর দশকে মনোজ কুমার প্রযোজিত 'পেইন্টার বাবু' ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন তিনি। রাজেশ খান্না, অমিতাভ বচ্চন, শত্রুঘ্ন সিনহা থেকে শুরু করে জিতেন্দ্র, অনিল কাপুরদের মতো সুপারস্টারদের সঙ্গে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন।
১৮ ৯৮ সালে 'স্বামী বিবেকানন্দ' এবং ২০১৬ সালে 'ঘায়েল: ওয়ানস এগেইন'-এ অভিনয় করেছিলেন। ১৩ বছরের কেরিয়ারে বহু ব্লকব্লাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন। তাঁর অভিনয় প্রতিভাও প্রশংসা কুড়িয়েছে সমালোচকদের। ১৯৮৬ সালে স্বাতী , একটি নারী-কেন্দ্রিক আর্ট হাউস চলচ্চিত্রে, তিনি নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ছবিটি ব্যাপক সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছিল এবং সমালোচকরা বলেছিলেন, "মীনাক্ষী শেশাদ্রি স্বাতীতে অভিনয় করেছেন যেভাবে অমিতাভ বচ্চন তার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন"। তবে ১৯৯৬ সালে আচমকাই রূপালি পর্দাকে বিদায় জানিয়ে পাড়ি জমান মার্কিন মুলুকে। এখন তিনি আবার ফিরে আসতে চান লাইট-ক্যামেরা- অ্যাকশনের দুনিয়ায়।
তবে কোন অভিনেত্রীরা যেভাবে সহজে হারিয়ে যান, অভিনেতাদের
সেই ছবি দেখা যায় না। অভিনেতাদের কেরিয়ার জীবনে অভিনেত্রীদের তুলনায় অনেক দীর্ঘ হয়।
এর প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে অভিনেত্রী মীনাক্ষী শেশাদ্রি জানান, "পুরুষ অভিনেতাদের
লম্বা কেরিয়ার হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। ধর্মেন্দ্র, জিতেন্দ্র, অমিতাভরা এক
প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের সামনে অভিনয় করে চলেছেন। আসলে পুরুষদের ঘরের দায়িত্ব কাঁধে
নিতে হয় না। কাজের জগতেই পুরো সময়টা দিতে পারেন। আরেকটা কারণ হল গর্ভধারণ, পুরুষদের
সন্তান লালন পালন করতে হয় না। ফলে লম্বা সময় ধরে কেরিয়ারকে নিয়ে যেতে অসুবিধা হয় না।''
সঙ্গে তিনি যোগ করেন, "সবচেয়ে বড় কথা হল, দর্শকরা এখনও ওঁদের পছন্দ করে। এটা
কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।''সেই সঙ্গে কোন চরিত্রে ফের অভিনয় জগতে ফেরা প্রসঙ্গে
জানান, "আমার মনে হয়, বর্তমান পরিচালকরা আমার জন্য স্ক্রিপ্ট
লেখার আগে আমি কেমন আছি, আমার শৈল্পিক অভিব্যক্তি কেমন হবে, তা আগে জানতে চাইবেন।''