দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- আজকাল কার ব্যস্ততাময় জীবনের
সাথে তাল মেলাতে গিয়ে অনেকেই খাবারের দিকে ঠিক ভাবে নজর দেওয়ার সময় পান না। এর ফলে
হজমের সমস্যা থেকে শুরু করে গ্যাস্ট্রিকের মত নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতি থেকে
ম্যাজিকের মত কাজ করে এক ফল, তা হল পেঁপে। ১০০ গ্রাম কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে ৭.২ গ্রাম
শর্করা, ক্যালোরি থাকে ৩২ কিলোগ্রাম, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম,
পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, খনিজ ০.৫ মিলিগ্রাম এবং ফ্যাট বা চর্বি থাকে ০.১ মিলিগ্রাম।
শুধু হজম শক্তি বাড়ানো নয়, আরও নানা সমস্যা দূরীকরণে সাহায্য করে পেঁপে।
১. ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁচা পেঁপে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে
যথেষ্ট আঁশ বা ফাইবার রয়েছে। পেঁপেতে যেমন কম ক্যালোরি আছে, তেমন মেদ কমানোর জন্য বিশেষ
কিছু উপাদান রয়েছে।
২. যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয়, তারা সালাদ হিসেবে কাঁচা
পেঁপে খেতে পারেন।
৩. পেঁপেতে থাকা আঁশ ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি বা
অম্লতা, পাইলস ও ডায়রিয়া দূর করতে পারে। মানুষের শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে পেঁপে
দারুণ কার্যকর।
৪. কাঁচা পেঁপে দেহের সঠিক রক্ত সরবরাহে কাজ করে। দেহে জমা
থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃৎপিণ্ডের রোগের জন্য দায়ী। নিয়মিত পেঁপে খেলে
উচ্চ রক্ত চাপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৫. কাঁচা পেঁপেতে নানা রকম প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে। এর মধ্যে
উল্লেখযোগ্য দুটি এনজাইম হচ্ছে সাইমোপ্যাপিন ও প্যাপিন। এই দুটি এনজাইম প্রোটিন চর্বি
ও কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে সাহায্য করে।
৬. নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। বিশেষ
করে ব্রণ এবং ত্বকের ওপর নানা দাগ দূর করতে পারে কাঁচা পেঁপে। মৃত কোষ সমস্যা দূর করতে
পারে পেঁপে।
৭. যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস
শুরু করুন। খেতে পারেন কাঁচা পেঁপের জুসও। কাঁচা পেঁপে বা এর জুস রক্তে চিনির পরিমাণ
কমায়। আর এটি শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়।
৮. প্রতিদিন দুপুর ও রাতে খাবারের পর এক টুকরো কাঁচা পেঁপে
ভালো করে চিবিয়ে খান। তারপর এক গ্লাস জল খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়। এতে গ্যাস্ট্রিক
ও বদহজমের সমস্যাও দূর হয়।
৯. পেঁপের পুষ্টিগুণ মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকারি। কারণ এটি নারীদের যে কোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পেঁপের পাতা, তেঁতুল ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে জল দিয়ে খেলে ব্যথা একেবারে ভালো হয়ে যায়।