দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক : কিডনি শরীরের বিশেষ এক অঙ্গ। এই অঙ্গটিকে যত্নে রাখা খুবই জরুরি। তবে বর্তমানে বেশকিছু অসুখ এই অঙ্গের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। একবার এই অঙ্গে ক্রনিক অসুখ হলে আর রক্ষে নেই। এই পরিস্থিতিতে কী খেতে পারেন কিডনি রোগীরা? আসুন জানা যাক।
আপনি কি খেতে পারেন ?
সিরিয়াল: ভাত, জোয়ার, ডালিয়া, সাবু, গমের আটা, সুজি, চিড়ে ও মুড়ি (সীমিত)।
সবজি: পেঁয়াজ, লাউ, চাল কুমবো, লেটুস, ঢেঁড়স, বিনস, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, রসুন, শশা, পটল, কুট্টি, ধনে পাতা সিদ্ধ করে জল ফেলে সেই সবজি খেতে পারেন। ফুলকপি, বাধাকপি, কাঁচকলা, ক্যাপসিকাম, বেগুন, মুলো, করলা।
ফল: আপেল, নাশপাতি, পেয়ারা, পেঁপে।
ডালঃ আহর, কুড়।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য: সাদা মই, চর্বি ছাড়া দুধ।
তেল: সানফ্লাওয়ার, রাইস রান, সর্ষের তেল (সব তেল সীমিত)।
আমিষ: ডিমের সাদা অংশ, পুকুর ও নদীর মাছ, চর্বি ছাড়া মুরগির মাংস (সীমিত)।
বিস্কিট: মারি ও ক্রিম জ্যাকার।
আপনি কি খেতে পারেন না?
সিরিয়ালঃ রাগি, বাজরা।
সবজি।:মিষ্টি আলু, আলু, সব রকম শাক, কচু, বিটরুট, বরবটি, শিম, টমেটো, কুমড়ো, ব্রোকলি, গাজর, মাশরুম, এঁচোর, সজনে ডাটা, স্কোয়াশ, সন্ধা।
ফল: কলা, কিউই, খেজুর, কিশমিশ, শুকনো ফল, পাকা আম, কাঠাল, কমলা লেবু, বাতাবি লেবু, কামরাঙা, আমড়া,নারকেল, মুসম্মি, সবেদা।
ডাল: রাজমা, মুসুর ডাল, কাবুলি ছোলা।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য : মোষের দুধ, চর্বিসহ গরুদা দুধ, পনীর। তেল ও চর্বি। নারকেল তেল, তিলের তেল, মাখন, ডালডা, বী।
আমিষ : পাঠার মাংস, গোমাংস, শুয়োরের মাংস, ডিমের কুসুম, সামুদ্রিক চিংড়ি, কাঁকড়া, শুটকি মাছ। মাছ
মশলা ও আচার : মশলা যত কম তত ভালো। কোন রোকম আচার না।
পানীয় : ডাবের জল, কোল্ড ড্রিংকস, সোডা, নীরা, মদ্য জাতীয়।
নানারকমঃ জীম বিস্কিট, মিষ্টি, পাঁপড সমস্ত সস, চাটনি, চানাচুর, রেডিমেড স্যুপ ও প্যাকেটের খাবার, বাদাম, চকোলেট, পাউরুটি, নোনতা বিস্কিট, আইস ক্রিম, পাস্তা, নুডলস, অ্যাজিনামোট যুক্ত খাবার, লবণ যুক্ত শুকনো ও প্রিসারভেটিভ খাবার