Health

9 months ago

The magic of capsicum:ক্যাপসিকমের ম্যাজিক - শরীর থাকবে তরতাজা

capsicum
capsicum

 

  দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃবিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাবারে সহায়ক উপকরণ হিসেবে ক্যাপসিকাম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্যাপসিকাম বেশ কয়েকটি রঙের হয়ে থাকে। মূলত আমাদের দেশে লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম বেশি দেখা যায়। দেশীয় সবজি না হলেও এর চাষ ধীরে ধীরে বাড়ছে এই দেশে। সবজি হিসেবে চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। লাল ও সবুজ ক্যাপসিকামের মধ্যে কোনটি বেশি উপকারী? কী বলছেন পুষ্টিবিদেরা।ক্যাপসিকাম বা বেল পেপারের গুণাগুণ প্রচুর। ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে বেল পেপারে। তাই অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ক্যাপসিকাম রান্না করলে এর ভিটামিন সি অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। বরং কাঁচা বেল পেপার স্যালাডে খেলেই এর পুষ্টিগুণ পুরোপুরি পাওয়া যায়। স্টার-ফ্রাই মেথডেও বেল পেপার রান্না করে খেতে পারেন। উচ্চ তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ রান্না না করাই ভালো। এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসও ভরপুর থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন ই, এ-ও পাওয়া যায় ক্যাপসিকাম থেকে। তাই চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও বেল পেপার সহায়ক। একই সঙ্গে চুল ও ত্বকের জন্যও খুব ভালো। হাড় ও হার্ট দুই-ই ভালো রাখে। পটাসিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি উপাদানও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় বেল পেপারে। তাই শরীরের আয়রন গ্রহণ করার ক্ষমতাও বাড়ায়। দীর্ঘদিন ফ্রিজে রেখে বেল পেপার না খাওয়াই ভালো। বাজার থেকে কিনে দু'তিন দিনের মধ্যে খেয়ে নিলেই উপকার বেশি।

১) মেদ ঝরায় - ঝট করে ওজন কমাতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে ক্যাপসিকাম। এই সবজি শরীরে বিপাকের হার বাড়িয়ে দেয়। ফলে দ্রুত গতিতে কমতে থাকে ওজন। তাই ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই ক্যাপসিকাম খান। এতেই উপকার পাবেন।

২) অ্যানিমিয়া দূর করে​ -

 একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, এই সবজিতে উপস্থিত রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন অন্ত্রকে আয়রন শোষণে সাহায্য করে। আর দেহে আয়রনের ঘাটতি মিটলেই অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা দূর হয়ে যায়। তাই রক্তাল্পতায় আক্রান্তরা নিয়মিত ক্যাপসিকাম খান।

৩) দৃষ্টি শক্তি বাড়ায় - এখন বাচ্চাদের চোখেও মোটা কাচের চশমা ঝোলে। আর এর পিছনে কিছুটা হলেও দায়ী আধুনিক সভ্যতা। সবসময় মোবাইল, ল্যাপটপের স্ত্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখে পাওয়ার আসা স্বাভাবিক।এক পরিস্থিতিতে এমন কিছু খাবার খেতে হবে যা চোখের সমস্যা দূর করে। আর এই তালিকায় রয়েছে ক্যাপসিকামের নাম। এই সবজিতে রয়েছে লিউটিন ও জিয়াজ্যানথিন। এই দুই ক্যারোটিনয়েড চোখের জন্য ভীষণই উপকারী।

৪) ক্যান্সার প্রতিরোধক - ক্যানসারের মতো মারণ অসুখের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করা দরকার। আর এই কাজে আপনার ব্রহ্মাস্ত্র হতে পারে ক্যাপসিকাম। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই সবজিতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদানের ভাণ্ডার। এই সকল উপাদানগুলি দেহে প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে। এমনকী ক্যানসার সেলের বৃদ্ধিও রুখে দিতে পারে।

৫) হাড় শক্ত হয়​ - এখন তো বয়স ৩০ পেরনোর পরই হাড়ের ক্ষয় প্রায় নিশ্চিত। এক্ষেত্রে ব্যথা, ফোলার মতো জটিলতায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তবে চিন্তা নেই মশাই, এই সমস্যা সমাধানেও কাজে আসতে পারে ক্যাপসিকাম। এই সবজিতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ। এই খনিজ হাড়, কার্টিলেজ, বোন কোলাজেনের গঠনকাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এতে উপস্থিত ভিটামিন কে হাড়ের জোর বাড়ায়।

You might also like!