দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: মানবদেহের সুস্থতা বজায় রাখতে শরীরচর্চার প্রয়োজনীয়তা আব্যশক। প্রতিদিনের অভ্যাসে ব্যায়াম থাকা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও ব্যায়ামের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। তাই ব্যস্ততম জীবনে ক্লান্তি দূর করতে ওয়ার্কআউট জরুরী। সঠিক ওয়ার্কআউট রপ্ত করতে পারলে মন থাকবে চনমনে, ঘুম হবে ভালো, সর্বোপরি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তবে অনেকেই বর্তমানে ব্যায়াম করতে করতে হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মতো ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। এমনকি সেই তালিকায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন সেলেবও। তাই নিয়ম করে শুধু জিমে গেলেই হবেনা, শরীর বুঝে করতে হবে সঠিক শরীরচর্চা। অন্যথায় বিপদ অনিবার্য। তবে কী কী বিপদ এড়িয়ে যাবেন, আপনাদের সতর্কতার জন্য রইল কিছু তালিকা!
১। শীর্ষাসনঃ শীর্ষাসন মাথায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে এবং রক্ত চলাচল ঠিক রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে তাহলে অবশ্যই এই ব্যয়াম এড়িয়ে যান। তবে শীর্ষাসন করার সময় যদি সঠিক পদ্ধতিতে না করেন তাহলে ঘাড়ে লেগে যেতে পারে। তাই ঠিক মতো না জেনে এই ব্যায়াম না করাই ভালো।
২। ক্রসফিট পুল আপঃ ক্রসফিট পুল আপ যেহেতু শরীরের পেশীকে শক্তিশালী করে, তাই আপনাকে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। ফলে শরীরে আসে ক্লান্তি। আর সেই সময়েই সম্ভাবনা থাকে বিপদ ঘটে যাওয়ার। তাই প্রতিদিন এই ব্যায়াম না করাই ভালো।
৩। লেগ এক্সটেনশনঃ লেগ এক্সটেনশন একটি জনপ্রিয় ব্যায়াম। বিশেষ করে কোয়াড্রিসেপস পেশীর শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু এর ফলে হাঁটুতে বিরাট চাপ পড়ে। হাঁটু, গোড়ালি বা উরুর আঘাত থাকলে অবশ্যই এড়িয়ে চলুন এই ব্যায়াম। যদি লিগামেন্টে আঘাত থাকে, তাদেরও এই ব্যায়াম এড়ানো উচিত।
৪। মেশিন স্কোয়াটঃ জিমে গিয়ে নতুন নতুন মেশিন দেখে সকলেরই মনে ইচ্ছে জাগে সেই সব মেশিনেই ওয়ার্কআউট করার। তবে সব মেশিনের ব্যবহার জেনে তবেই করা উচিত। এই ধরনের ব্যায়াম শরীরের নিম্নাঙ্গের শক্তি বাড়ায়। বিশেষ করে কোয়াড্রিসেপস এবং হ্যামস্ট্রিং পেশিগুলিকে শক্তিশালী করে। তবে এই বযায়াম করার সময় হাঁটুর উপর চাপও পড়ে বেশি। তাই হাঁটুর সমস্যা এড়াতে এই ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।
৫। ক্রাঞ্চঃ ক্রাঞ্চ পেটের মেদ দূর করে, পেশিকে মজবুত ও টানটান করে, খাবার হজম হওয়া বা মেটাবলিক রেট বাড়াতেও সাহায্য করে। তবে বেশি পরিমাণে করলে সমস্যা বাড়তে পারে। পেটে টান ধরতে পারে। তাই প্রয়োজন বুঝে করুন।
মনে রাখবেন, অতিরিক্ত কোনও ব্যায়ামই শরীরের জন্য ভালোনা। তাই কোনও ব্যায়াম করার সময় শরীর খারাপ অনুভূত হলে, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোড়া এমন মনে হলে সতর্ক হোন। এড়িয়ে চলুন উক্ত ব্যায়ামগুলী। পাশাপাশি কোনও ব্যক্তির বয়স ৩০ বছর পেরিয়ে গেলে ব্যায়ামের তুলনায় ওয়ার্ম আপ এবং কুল ডাউন সেশনের সময় বেশি হতে হবে। হালকা হাঁটা, জগিং, সাইকেলিং ভারী ব্যায়ামের তুলনায় অনেক বেশি কাজে দেবে। শরীরচর্চা করুন তবে আবেগে নয়, নিজের শরীর বুঝে।