দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী—দেশের প্রতিটি প্রান্তে আজ রেলপথ বিস্তৃত। শহর হোক বা গ্রাম, সাধারণ মানুষের নিত্যযাত্রার অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছে ভারতীয় রেল। সংসদে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, শেষ পাঁচ বছরে (২০২০–২০২৫) রেলের অসংরক্ষিত কামরায় যাতায়াত করেছেন প্রায় ২১৮৭ কোটি যাত্রী। লোকসভায় চলতি বাদল অধিবেশনে কংগ্রেস সাংসদ এস জোথিমণি এবং ডিএমকে সাংসদ সচিতানন্থম আর একযোগে রেলমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, গত পাঁচ বছরে রেলের জেনারেল বা অসংরক্ষিত কামরায় কতজন যাত্রী ভ্রমণ করেছেন? উত্তরে বৈষ্ণব বলেন, এই সময়কালে বিভিন্ন মেল, এক্সপ্রেস, মেমু ও ইএমইউ ট্রেনে অসংরক্ষিত কামরায় ভ্রমণ করেছেন ২১৮৭ কোটি যাত্রী।
দূরপাল্লা ট্রেনে অসংরক্ষিত কামরায় যাতায়াত করা রীতিমতো চ্যালেঞ্জের বিষয়। যাত্রীরা ঠাসাঠাসি করে সফর করেন। রেলমন্ত্রী জানান, মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়াও, মেমু, ইএমইউ কোচের নন এসি ট্রেন চালানো হয়। আরও জানিয়েছেন, অমৃত ভারত এক্সপ্রেস পুরোপুরি নন-এসি ট্রেন যেখানে ৮টি স্লিপার কোচ রয়েছে। বাকি ১১টি জেনারেল কোচ। যেখানে যাত্রী অল্প টাকা খরচ করে সফর করতে পারেন। একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, দেশে নন-এসি কোচ ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুসারে, মোট ৮২,২০০ কোচের মধ্যে ৫৭,২০০ নন-এসি, বাকি ২৫,০০০ এসি কোচ। আগামী পাঁচ বছরে ১৭,০০০ নন-এসি জেনারেল ও স্লিপার কোচ তৈরি করা হবে।
রেলমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, দূরপাল্লার ট্রেনে অসংরক্ষিত কামরায় যাত্রা সাধারণ মানুষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যাত্রীরা প্রায়শই অতিরিক্ত ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে গন্তব্যে পৌঁছান। তাই যাত্রীদের সুবিধার্থে নন-এসি ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো এবং সাধারণ কামরার পরিকাঠামো উন্নত করার লক্ষ্যে সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে।