দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- বিশ্বকর্মা পুজো মানেই বাঙালির দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো। আর প্রতি বছর বিশ্বকর্মাপুজোয় ছোট-বড় কারখানা, দোকান, শিল্প, কোম্পানি এমনকী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও স্থপতি বিশ্বকর্মার আরাধনা করা হয়।
প্রচলিত বিশ্বাস, এই দিন বিশ্বকর্মার পুজো করলে সম্পত্তি এবং ব্যবসার বৃদ্ধি হয়। আর্থিক উন্নতি হয় ভক্তদের। সেই সঙ্গে আকাশে নানা রঙের ঘুড়ির মেলে। ছোটদের মন টানে ঘুড়ির প্যাঁচ লড়াইয়ে। সব বছরের মতো এই বছরেও আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পালিত হবে বিশ্বকর্মা পুজো।
হিন্দু ধর্মে সব দেব-দেবীরই পুজোর তিথি স্থির হয় চাঁদের গতি প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। এ বিষয়ে চান্দ্র পঞ্জিকা অনুসরণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু বিশ্বকর্মার পুজোর তিথি স্থির হয় সূর্যের গতি প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে। তবে পঞ্জিকা অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিংহ রাশিতে অবস্থান করবেন সূর্যদেব। পরদিন অর্থাৎ ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭.৫২ মিনিটে সূর্য প্রবেশ করবেন কন্যারাশিতে। জ্যোতিষীদের মতে, কন্যা সংক্রান্তিতে প্রকট হয়েছিলেন বিশ্বকর্মা। সূর্য যেহেতু ১৬ সেপ্টেম্বর কন্যা রাশিতে প্রবেশ করবেন তাই ওইদিন কন্যা সংক্রান্তি পালিত হবে। বিশ্বকর্মা পুজোও তাই হবে ওই দিন। ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২.১৬ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬.২৫ মিনিট পর্যন্ত শুভ সময়। মহা পুণ্যকাল বিকাল ৪.২২ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬.২৫ মিনিট পর্যন্ত। আবার কোনও কোনও পঞ্জিকা মতে বিশ্বকর্মা পুজো অনুষ্ঠিত হবে ১৭ সেপ্টেম্বর।
উল্লেখ্য, বিশ্বকর্মার পুজোর দিন ভাদ্র মাসের শেষ তারিখে নির্ধারিত হয়। এই ভাদ্র সংক্রান্তির আগে বাংলা পঞ্জিকায় পাঁচটি মাসের উল্লেখ মেলে। এই পাঁচটি মাসের দিন সংখ্যাও প্রায় বাঁধাধরাই- সাকুল্যে ১৫৬টি দিন! এই নিয়ম ধরে বিশ্বকর্মা পুজোর যে বাংলা পঞ্জিকা মতে তারিখটি বেরোয়, তা ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ১৭ সেপ্টেম্বরেই পড়ে। কোনও কোনও বছরে এই পাঁচ মাসের মধ্যে কোনওটা যদি ২৯ বা ৩২ দিনের হয়, একমাত্র তখনই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন পিছিয়ে বা এগিয়ে যায়।