দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বড়দিনের আনন্দে মেতে উঠেছে গোটা বিশ্ব। প্রাক ক্রিসমাসের প্রস্তুতি পর্ব চলছে পুরোদমে। ২৫ ডিসেম্বরের দিন পুনরায় দিন বড় ও রাত ছোট হতে শুরু করে। তাই জ্যোতিষ শাস্ত্রে এই দিনের মাহাত্ব আছে। এটি বিশ্বাস করা হয় যে প্রভু যীশুর জন্মের আনন্দে বাড়িতে যদি বিশেষ কিছু জিনিস দিয়ে সাজানো যায় তবে তা বাস্তু মতে শুভ হয়। তার স্মরণে, ক্রিসমাসের দিনে পাইন বা দেবদারু গাছের ডাল কেটে এনে সেটিকে নানা রকম ভাবে সাজানো হয়। কিন্তু এর পিছনে কারণ কী, বা এই কাজ করলে কী কী উপকার হয়, জেনে নেওয়া যাক।
ক্রিসমাস ট্রি-এর বিশেষত্ব
ক্রিসমাস ট্রির উপরের অংশটি ত্রিভুজাকার এবং উপরের দিকে ক্রমবর্ধমান। বাস্তুতে, এটি উন্নতি, অগ্রগতি ইত্যাদির প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে ক্রিসমাস ট্রি লাগালে জীবনে উন্নতি হয়। বাড়িতে সারা বছর আনন্দ বজায় থাকে।
ক্রিসমাস ট্রি সাজায় কেন?
মনে করা হয় প্রভু যীশুর জন্মের সময় আলো এবং নানা রকমের জিনিস দিয়ে বেথেলেহেমের নানা জায়গাকে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। তাই ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে ঘরে রাখলে ঘরে উপস্থিত সব রকম খারাপ শক্তি দূর হয়। পাশাপাশি বাড়ি ও জীবনে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
কোথায় রাখা উচিত ক্রিসমাস ট্রি
বাস্তু অনুসারে মনে করা হয় যে ক্রিসমাস ট্রি বাড়ির উত্তর দিকে স্থাপন করা উচিত। এই দিকটিকে ইতিবাচকতার দিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই বড়দিনের গাছ উত্তর দিকে রাখলে তা খুব ভালো ফল দেয়। জীবনে আনন্দ বৃদ্ধি পায়।
কীভাবে সাজাবেন ক্রিসমাস ট্রি?
বলা হয় যে ক্রিসমাস ট্রি রঙিন আলো দিয়ে সজ্জিত করা উচিত। এতে বাড়িতে শিশু থাকলে তার আয়ু বাড়ে এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়। পাশাপাশি বলা হয় ক্রিসমাস ট্রিতে ঝুলিয়ে রাখা খেলনা শিশুদের মধ্যে বিতরণ করা উচিত। এটি করলে ঘরে সুখ ও উন্নতি আসে।
ক্রিসমাস ট্রি-তে তারা লাগায় কেন?
প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী তারা হল জীবনের সুখ এবং আনন্দের প্রতীক। তাই ক্রিসমাস ট্রিতে আলোর সঙ্গে তারার মডেল দিয়ে সাজানো হয়। মনে করা হয় এই তারাগুলি সকলের জীবনে উৎসাহ এবং আনন্দ বৃদ্ধি করে।