দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শীতল ষষ্ঠী পালিত হয় সরস্বতী পুজোর পরের দিন। এদিন প্রথামত সকাল থেকে আগুন জ্বলবে না। অনেকটা অরন্ধনের মত এই পার্বণ। গোটা শস্য রান্নার ফলে পরিবারকে সামগ্রিকভাবে একত্রিত রাখার প্রয়াস রয়েছে।
অনেকের মতে শীতল খাদ্য গ্রহণের যে-প্রথা পশ্চিমবঙ্গের বহু অঞ্চলে প্রচলিত তার অন্তরালে হয়ত আঞ্চলিক কিছু শস্যকেন্দ্রিক-ধর্মধারার অবশেষ আছে। এ ছাড়া এর পিছনে একটা বৈজ্ঞানিক এবং সামাজিক ব্যাখ্যা রয়েছে। শীত গিয়ে আসতে শুরু করেছে বসন্ত। এ সময় শরীরে জীবাণুর বাসা বাঁধতে শুরু হয়। এই সকল রোগের হাত থেকে বাঁচতে এই সব টোটকার খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সুচারূ কোনও গবেষণা হয়েছে কিনা জানা নেই, তবে মনে করা হয়, এটাই মুখ্য কারণ।
সরস্বতী পুজোর পর দিন সকালে তিথিগত ভাবে ষষ্ঠী থাকতে থাকতে হয় ষষ্ঠীপুজো। তারপর হয় বাড়ির শীল, নোড়ার পুজো। ফুল, প্রসাদ দিয়ে শীল-নোড়ার পুজো দিয়ে দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয় শীল-নোড়ার গায়ে। পুজো শেষে সেই দই-ই আগের দিনের রান্না করা খাবারে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। ব্যস, এবার ওই ঠান্ডা রান্না খাওয়ায় কোনও আপত্তি নেই।