কলকাতা, ৩০ অক্টোবর : পুজোর আগে প্রশাসনিক বৈঠকে কথা হয়েছিল পুজো মেটার পর দ্রুত দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে লাগানো হোর্ডিং সরিয়ে নেওয়া হবে। খুলে ফেলা হবে মণ্ডপের কাঠামো। কিন্তু সোমবারও বৃহত্তর কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় দেখা যাচ্ছে মণ্ডপের কাঠামো এবং হোর্ডিং।
পুরসভা অবশ্য দাবি করেছে, শহরে দৃশ্যদূষণ, বায়ুদূষণ ঠেকাতে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সেগুলি খুলতে শুরু করেছে কলকাতা বিজ্ঞাপন বিভাগের কর্মীরা। উদ্যোক্তারাও সামিল হয়েছেন একাজে। একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ওই হোর্ডিংগুলোকে পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার কাজও শুরু হবে শীঘ্রই।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ পুজোর আগেই কলকাতা পুরসভার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল। ওই বৈঠক থেকেই পুরসভাকে অনুরোধ করা হয়েছিল, দশমীর পর থেকেই হোর্ডিং খোলার কাজ শুরু করার। যে এজেন্সিরা হোর্ডিং লাগিয়েছে, তাদের পাশাপাশি পুরসভার কর্মীদের একাজে নামানোর কথা বলেছিল পর্ষদ।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক কর্তা সোমবার বলেন, ''পুরসভাকে আমরা অনুরোধ করেছিলাম, পুজো মেটার সঙ্গে-সঙ্গে হোর্ডিংগুলি খুলে পুনরায় ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে। কেননা, এগুলি পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক।'' নির্দিষ্ট সময়ের পরেও এই হোর্ডিংগুলি না খোলার কারণে গাড়ি চালকরা সিগন্যাল দেখতে না পাওয়ার অভিযোগে সরব হন ফি বছর। হোর্ডিং খুলে পড়ার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থেকে যায়।
লালবাজারেও পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে তৎপর হওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। যে তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলছে তাতে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ৯০ শতাংশ হোর্ডিং, ব্যানার খুলে ফেলা সম্ভব হবে বলে দাবি পুর কর্তাদের। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তর বক্তব্য, ''শুধু হোর্ডিং দ্রুত খুলে পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করে তুললেই হবে না। হোর্ডিং লাগানোর সময় গাছের কোনও ক্ষতি করছে কিনা সেদিকে নজর রাখাটাও জরুরি।''