দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাচীন কালীপুজো ঘিরে ভক্তদের ঢল নামে গোবরজনা কালীবাড়িতে। মনস্কামনা নাকি বিফলে যায় না। তাইতো এই মন্দিরে ভক্তদের ভিড় বাড়তেই রয়েছে। শুধুমাত্র বাংলা নয়, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে বহু ভক্ত আসেন মালদহের প্রাচীন কালীপুজো গোবরজনা কালী মন্দিরে।
এই পুজোর সূচনা ঠিক কবে হয়েছিল তা অজানা সকলের কাছে।নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে বর্তমানে পুজিত হয়ে আসছেন গোবরজনা কালিমাতা। গোবরজনা গ্রামের চৌধুরী পরিবারের বর্তমান সদস্যরা এই পুজো করছেন। চৌধুরী পরিবার ভাগ হয়েছে বর্তমানে। তাই প্রতিবছর পালা করে পুজোর দায়িত্ব পালন করেন বর্তমান প্রজন্ম।
লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে এই পুজো নাকি শুরু করেছিলেন ভবানী পাঠক। এক সময় এই অঞ্চল ঘন জঙ্গলে ঘেরা ছিল। মন্দিরের পাশ দিয়েই বয়ছে কালিন্দ্রী নদী। নদী পথে নৌকায় যাওয়ার পথে দেবি চৌধুরানী ও ভবানী পাঠক এখানে নোঙর করেন নৌকার। সেই সময় জঙ্গলে ভবানী পাঠক কালী পুজো দিয়ে যান।
পরে স্থানীয়রা প্রতি বছর পুজো দিতেন এই জঙ্গলে বিশাল এক বট গাছের নীচে। কয়েক পুরুষ ধরে এই পুজোর দায়িত্ব পালন করে আসছে স্থানীয় চৌধুরী পরিবার। পুজোর দায়িত্বে থাকা স্বপন চৌধুরী বলেন, পুজো কত পুরনো জানা নেই। বাবা ঠাকুরদা আগে পুজো দিতেন। এখন আমাদের দায়িত্বে। তবে লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে এই পুজো ভবানী পাঠক দিয়েছিলেন ঘন জঙ্গলে।
গ্রামের পাশে কালিন্দ্রী নদীর তীরে ঘন জঙ্গল ছিল আগে। সেখানেই জরাজীর্ণ দেবীর বেদি ছিল। সেখানেই পুজো হয়ে আসছে। আগে নদীপথে নৌকায় করে দেবীমূর্তি নিয়ে আসা হত। ধীরে ধীরে মন্দিরের ভক্তদের সমাগম বাড়তে থাকে। মন্দির চত্বরের জঙ্গল পরিষ্কার হয়ে যায়। ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ হওয়ায় অনেকেই এখানে আসেন।
আগে বিশাল বট গাছের নীচে মন্দির ছিল।গাছটি মারা যাওয়ার পর তৈরি করা হয় মন্দির। এখন সেই মন্দিরেই পুজো হয়ে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দা বীরেন রজক বলেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, বিহার ঝাড়খণ্ড থেকে মানুষ আসেন এই পুজোয়। কয়েক লক্ষ ভক্ত আসেন।
প্রাচীন এই কালীপুজো কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে।পুজোকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মোড়া হয় গোটা এলাকা। ভক্তদের ভিড় সামাল দিতেও পুলিশ প্রশাসনে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহন করতে হয়। সকলেই যেন সুষ্ঠু ভাবে পুজো দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হয়।