পশ্চিম বর্ধমান : মানকরের স্মরণ কালী পুজোর প্রস্তুতি এই মুহূর্তে তুঙ্গে। স্থানীয়দের কাছে এই দেবী বিশেষভাবে জাগ্রত বলেই জনশ্রুতি রয়েছে। নিজের মনস্কামনা পূরণের জন্য এখানে অনেকেই মানত করে যান। সেই মানত পূরণের গয়নার পরিমাণ বর্তমানে ১০০ ভরি পেরিয়েছে।
পরিবারের পূর্বজরা একসময় যুক্ত ছিলেন ডাকাতির সঙ্গে। দেবী কালির পুজো করেই তারা বের হতেন। জঙ্গলে ঘেরা এলাকায় শুরু হয়েছিল পুজো। যে পুজোর বয়স পেরিয়েছে তিনশোর কোঠা। এখন সেই জায়গার বদল হয়েছে অনেক। চতুর্দিকে তৈরি হয়েছে ঘর। কিন্তু এক পুরনো নিয়মের বদল হয়নি আজও। যা এই পুজোকে বিশেষ করে তুলেছে।
এখানে দেবী মূর্তির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট। পরিবারের সদস্যরা দেবী মূর্তি তৈরি করেন। আর এই দেবী মূর্তি তৈরিতেই রয়েছে বিশেষত্ব। পরিবারের সদস্য জিতেন আঁকুরে জানিয়েছেন, একটা সময় পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব দুর্বল ছিল। পুজো চললেও দেবী মূর্তির তৈরির খরচ ছিল না তাদের কাছে। স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রতিমা তৈরীর জন্য অল্প খরচ দিতেন। তাই প্রতিবার সাজ নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তখন স্থানীয় জমিদার বিশ্বাস পরিবারের দুর্গার সাজ খুলে সাজানো হয় দেবী কালীকে।সে বহুকাল আগের কথা। এখন পরিবার আর্থিকভাবে অনেকটাই স্বচ্ছল। কিন্তু পুরনো সেই রীতির বদল হয়নি আজও।