দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- বাঙালির দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে
দুর্গাপুজো। আর মাত্র ২৬ দিনের অপেক্ষা, এর পরই মা উমার আবাহনে মেতে উঠবে আপামর বঙ্গবাসী।
মণ্ডপে মণ্ডপে দেখা যাবে মা দুর্গার মূর্তি। আর সেই মূর্তিতেই দেখা যায় অসুরের গায়ের
রং সবুজ। বর্তমানে থিম পুজোর চল সর্বত্র। সেই হিসাবে মহিষাসুরের রঙও বিভিন্ন রকমের
হয়ে থাকে। তবে প্রচলিত সনাতনী মূর্তিতে মহিষাসুরের রং সবুজই রাখা হয়।
পুরান অনুযায়ী,অসুরের গায়ের রং সবুজের হওয়ার নেপথ্যে কারণ রয়েছে। পুরাণমতে, মহিষী এবং রম্ভের পুত্র এই
মহিষাসুর। পিতা রম্ভ বর পেয়েছিলেন পুত্র হবে প্রবল প্রতাপশালী। বাস্তবে হয়েওছিল তাই।
এরপর দৈত্যগুরুর আশীর্বাদ নিয়ে মহিষাসুর বিশেষ এক বরও পেয়েছিলেন। কোনও পুরুষ তাঁকে
হত্যা করতে পারবে না। এই বলের জোরেই স্বর্গ আক্রমণে উদ্যত হন অসুররাজ। তাঁর অত্যাচারে
ত্রিলোকে ত্রাহি ত্রাহি রব পরে যায়। এরপর দেবতাদের পুঞ্জীভূত তেজ থেকে জন্ম নেন দেবী
দুর্গা। আদিশক্তি মহামায়ার হাতেই শূলবিদ্ধ হন মহিষাসুর। তবে এমনটা সহজে হয়নি। হয়েছিল
এক ভয়ানক যুদ্ধ। সেখানে নানা রূপে ছলনার চেষ্টা করে মহিষাসুর। জন্মসূত্রেই সেই ক্ষমতা
তাঁর ছিল। বারবার নিজেকে মহিষের পেটে লুকিয়ে রাখতে পারতেন। গজ রূপেও দেবীকে আক্রমণের
চেষ্টা করেন। তবে যে মুহূর্তে দেবী তাঁকে বধ করছেন, তখন মহিষাসুরের অর্ধেক শরীর মহিষের
পেটে। আর সেই অংশের রং গাঢ় সবুজ। সেই মতোই তৈরি হয় দেবী মূর্তিতে থাকা প্রচলিত মহিষাসুর।
আবার এমনটাও বলা হয়, যেহেতু অসুর আর্যশ্রেণীর কেউ নন। সুতরাং তার গায়ের রং ফরসা নয়।
গাত্রবর্ণ কালো, বাদামী বা গাঢ় সবুজ।