দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শারদীয়া দুর্গোৎসব সমাগত। আগামীকাল মহালয়া, পিতৃ তর্পণের মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা ঘটবে। তারপর উৎসবের আমেজে মেতে উঠবে আট থেকে আশি। তবে শারদীয়া শেষ হয়ে যাওয়া মানেই যে উৎসব শেষ তা কিন্তু নয়। বরং শারদীয়া থেকেই সূচনা ঘটবে বাঙালির একের পর এক বড় পুজোগুলির। এবং তা চলবে একেবারে জগদ্ধাত্রী পুজো অবধি।
তবে দুর্গাপুজোর কয়েকদিন বাদেই গৃহস্থের ঘরে ঘরে পুজিতা হন ধনদেবী লক্ষ্মী। অবশ্য লক্ষ্মীপুজো গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে প্রত্যেক মাসেই হয়ে থাকে। তবে শরতের পুজোর পর এই যে লক্ষ্মীপুজো হয় তা হল কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। কেন এই নাম? তার পিছনে রয়েছে পৌরাণিক ব্যাখ্যা বা জনশ্রুতি।
কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি ‘কো জাগতী’ থেকে। এর আক্ষরিক অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ কথিত আছে, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতরণ করেন এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলকে আশীর্বাদ দেন। কিন্তু যার বাড়ির দরজা বন্ধ থাকে, তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মী প্রবেশ করেন না ও সেখান থেকে ফিরে চলে যান। তাই লক্ষ্মী পুজোর রাতে জেগে থাকার রীতি প্রচলিত আছে। সারারাত জেগে লক্ষ্মী আরাধনাই এই পুজোর বিশেষত্ব। আবার প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, শরৎ পূর্ণিমার রাতে যে জেগে অক্ষক্রীড়া অর্থাৎ পাশা খেলেন, লক্ষ্মী তাঁকে ধনসম্পদ দান করেন। আবার কেউ কেউ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন অন্যের বাগান থেকে ফল বা শস্য চুরি করে থাকে। ধারণা, এর ফলে লক্ষ্মী তাঁদের আশীর্বাদ দেবেন। প্রচলিত আছে,
“নিশীথে বরদা লক্ষ্মীঃ জাগরত্তীতিভাষিণী।
তস্মৈ বিত্তং প্রযচ্ছামি অক্ষৈঃ ক্রীড়াং করোতি যঃ।।"