দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- বাঙালির দোরগোড়ায় কড়া নারছে
দুর্গা পুজো। আর মাত্র হাতে গোনা ১৩ দিন অপেক্ষা। তারপরই খুশির জোয়ারে ভাসবে আপামর
বঙ্গবাসী। তাই বনেদি বাড়ি থেকে বারোয়ারি, সবতেই ব্যস্ততা এখন চরমে। তেমনি পুজো ঘিরে ব্যস্ততা দেখা
যাচ্ছে পশ্চিম বর্ধমানের চট্টোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজোতে।
এক সময়ে শাল, পিয়াল, বট, অশ্বত্থের জঙ্গলে ঘেরা ছিল আমরাই
গ্রাম। নির্জন এই এলাকার জমিদারি পেয়েছিলেন চট্টাপাধ্যায় পরিবার। তাঁরাই এই এলাকায়
দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। এখানে দুর্গার বাঁদিকে থাকেন সিদ্ধিদাতা গণেশ। চট্টোপাধ্যায়
বাড়ি উত্তরসূরিরা জানিয়েছেন, একবার পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ করার সময়ে 'দক্ষিণে গণেশায়
নমঃ' বলে ফেলেছিলেন। সেই থেকেই গণেশের স্থান হয় দুর্গার বাঁদিকে।
শোনা যায়, আগে শাক্ত মতে পুজো হতো এখানে। সেই সময়ে মোষ বলির
প্রথা ছিল। কথিত আছে, প্রায় ৪০০ বছর আগের তালপাতার পুঁথিতে কালির বদলে মোষের রক্ত
দিয়ে পালি ও সংস্কৃত ভাষাতে লেখা হয়েছিল চণ্ডীমন্ত্র। সে মন্ত্র উচ্চারণ করেই পূজিতা
হয়ে আসছেন দেবী।
গ্রামের জমিদারদের এই পুজোকে অনেকেই 'বাবুবাড়ির পুজো' বলে
চেনেন। সন্ধিপুজো এখানে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এদিন সপ্তসতী মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়।
গোটা জেলায় সম্ভবত আর কোনও বনেদি বাড়িতে এমন মহাযজ্ঞের আয়োজন হয় না বলেই দাবি করেছেন
পরিবারে সদস্যরা।
তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুজোর আচার কিছু পরিবর্তন আনা হয়। এখন মোষ বলি বন্ধ। দুর্গা এখন বৈষ্ণব মতে পূজিতা হন।