দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পার্বতীর অন্য এক রূপ হল অন্নপূর্ণা দেবী। অন্নদা বলেও তিনি পরিচিতা। অন্ন কথার অর্থ ধান, আর পূর্ণা-র অর্থ হল পূর্ণ। অর্থাত্ যিনি অন্নদাত্রী। শক্তির অপর রূপ হিসেবে হিন্দুদের মধ্যে বিরাজমান। মূলত দেবী দ্বিভুজা। তাঁর দু হাতে অন্নপাত্র ও হাতা থাকে। দেবীর একপাশে থাকেন ভূমি ও অন্যপাশে থাকেন শ্রী।
চৈত্র মাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে অন্নপুর্ণার পুজা করা হয়। কালী ও জগদ্ধাত্রী পুজোর মতই তান্ত্রিক মতে এই পুজো হয়ে থাকে।
হিন্দু নানা পুরাণ ও গ্রন্থে দেবী অন্নপূর্ণার উল্লেখ রয়েছে। নানান কাহিনীও আছে দেবী অন্নপূর্ণা নিয়ে। সেগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যাস কাশী প্রতিষ্ঠার উপাখ্যান ও কাশী প্রতিষ্ঠার উপাখ্যান। এছাড়া রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র দেবী অন্নপূর্ণার মাহাত্ম্য বর্ণনা করে অন্নদামঙ্গলকাব্য রচনা করেছিলেন।
কাহিনি
বিবাহের পর কৈলাশ শিখরে শিব ও পার্বতী বেশ সুখেই দাম্পত্যজীবন কাটাছিলেন। আর্থিক অনটনের জেরে বেশ কিছুদিন পরই শুরু হয় দাম্পত্যকলহ। দারিদ্র্যের কারণে পার্বতীর তিরস্কারে ঘর ছেড়ে ভিক্ষাবৃত্তি গ্রহণ করেন। কিন্তু কোথাও ভিক্ষে পেলেন না। শেষে ব্যর্থ হয়ে কৈলাশে ফেরেন শিব। পার্বতীর মায়ায় শিব যে ভিক্ষে পাচ্ছিলেন না, তা ঘুমাক্ষরেও টের পাননি শিব। পরে অবশ্য কৈলাশে ফিরে 'সঘৃত পলান্ন', পায়েস, পিঠে প্রভৃতি খান। এরপর দেবীর মহিমাবৃদ্ধির জন্য কাশীতে একটি মন্দির স্থাপন করেন শিব। চৈত্রমাসের শুক্লাপঞ্চমী তিথিতে সেই মন্দিরে দেবী অবতীর্ণ হলেন। সেই থেকেই দেবীর পূজার প্রচলন বাড়ে।
কাশীতে দেবী অন্নপূর্ণার বিখ্যাত মন্দির রয়েছে। সেখানে প্রতি বছর এই দিনটিতে দেবীর ধুমধাম করে পুজো হয়ে থাকে। এই মন্দিরে অন্নকূট উত্সব বিখ্যাত। এছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই পূজো অতি প্রসিদ্ধ।
প্রতিবারের মতো কলকাতার সেন বাড়িতে অন্নপূর্না পূজা হয়ে থাকে ১১৫ বছরে পড়ল এই পূজা। এবছর এই পুজো খুব ধুমধামের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে।