মস্কো, ১৭ অক্টোবর : ৩৪ বছর আগে, সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ সময়ে, কিছু বাঙালির চেষ্টায় শুরু হওয়া দুর্গাপুজো, আজ মস্কোর সর্বভারতীয় এবং একমাত্র দুর্গোৎসব।
স্থানীয় আইন ও পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ওখানকার পুজোর রীতি রপ্ত করে নিতে হয়েছে। বিল্ববৃক্ষ স্বরূপ একটি স্থানীয় ওক গাছের চারাকে জীবন্ত বৃক্ষ রূপে পুজো করা হয়। প্রতিমা প্রতি বছর দেশ থেকে নিয়ে আসা সম্ভব হয় না। তাই দশমীর পুজো ও বরণের শেষে প্রতিমা রাখা হয় বাক্স বন্ধ করে, আর মালা, পল্লব ও ফুল ভাসিয়ে দেওয়া হয় নদীতে।
বহু বাধা ও অসুবিধা অতিক্রম করে, ভারতীয় সম্প্রদায়ের প্রয়াসে ও মস্কো রামকৃষ্ণ মিশনের সাহায্যে, প্রতি বছর এই উৎসব উদ্যাপন করা সম্ভব হয়েছে। সপ্তমীর সন্ধ্যায় রামকৃষ্ণ মিশন মহারাজের উপস্থিতিতে, প্রদীপ জেলে পুজো উদ্বোধন করেন মস্কোস্থিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। আর সন্ধ্যায় সংস্কৃতি উৎসবে যোগদান করেন স্থানীয় ভারতীয় ও রুশ শিল্পীরা।
কাজের বা ছুটির দিন নির্বিশেষে, দেশের মতো এখানেও পাঁচ দিন তিথি মেনে পুজো হয়। তবে দুর্গাপুজো শুধু বাঙালির নয়। বেশ কিছু রুশ এবং উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতের মানুষ এই পুজোয় যোগদান করেন এবং নিজেদের মতো রান্না করে ভোগ নিবেদন করেন।
পুজোয় মণ্ডপ করার দায়িত্বে থাকেন স্প্যানিশভাষী এক কলম্বিয়ান ব্যক্তি। সুদূর দক্ষিণ আমেরিকায় এক পাদ্রীর ঘরে জন্মগ্রহণ করলেও রাশিয়ার পুজো প্যান্ডেল তাঁর সৃজনশীলতায় সেজে ওঠে।