দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃপ্রতিপদের সন্ধ্যা। ভিআইপি রোডের বিমানবন্দরমুখী রাস্তায়, উল্টোডাঙা উড়ালপুলের উপরে দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে রইলেন বিমানযাত্রী, অসুস্থ রোগী, শিশু ও বয়স্কেরা। কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ঘন ঘন বাজল ফোন। বিমানবন্দরগামী যাত্রীদের কাতর প্রশ্ন, ‘‘বিমান ধরব। যানজটে আটকে। কোন পথে যাব?’’ শ্রীভূমির জন্য ভিআইপি এবং ইএম বাইপাস তখন কার্যত স্তব্ধ।ভিড় ও যানজট নিয়ে গত বছরেও শ্রীভূমির পুজো উদ্যোক্তাদের সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বারেও দু’দফায় তাঁদের একই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু বাস্তবে মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তাও যে শ্রীভূমি-আতঙ্ক কাটাতে পারল না।
উত্তর পেতে শ্রীভূমির পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা তথা রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে ফোন এবং মেসেজ করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি। সব মিলিয়ে পুজোর আগামী দিনগুলি নিয়ে শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে শ্রীভূমির জ্যাম আতঙ্ক।
শনিবার, মহালয়ার রাতেই শ্রীভূমির মণ্ডপ খুলে গিয়েছে। ওই রাত থেকেই ভিড় শুরু হয়েছিল। সেই ভিড় নেমে আসে সার্ভিস রোডে। দক্ষিণদাঁড়ির কাছে সার্ভিস রোড বন্ধ করে দিতে হয়। কলকাতা পুলিশের দাবি, রবিবার লেক টাউনে ঘড়িমোড়ের কাছে ভিড় জমে যাওয়ায় যানজট তৈরি হয়। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের দাবি, সন্ধ্যায় যানজট ছিল ঠিকই, কিন্তু গাড়ি থমকে যায়নি। রাতে যানজট অল্প থাকলেও গাড়ির গতি বাড়ানো গিয়েছে। যদিও বাস্তব চিত্র ছিল আলাদা। রাত ন’টার পরেও ওই পথে ঘণ্টাখানেক এক জায়গায় গাড়ি দাঁড়িয়ে থেকেছে বলে জানাচ্ছেন আটকে থাকা গাড়ির যাত্রীরাই।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রতি বার একই সমস্যা। বিশেষত কলকাতার অভিমুখ থেকে বিমানবন্দরগামী রাস্তায় ভিআইপি রোডে চরম হেনস্থা হতে হয়। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনেও যার পরিবর্তন হয় না। পুলিশ ও পুজো কমিটির ব্যাখ্যা, বহু মানুষ ছুটির দিনে শ্রীভূমির মণ্ডপ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন। তাঁদের অনেকেই গাড়িতে এসেছেন। ফলে গাড়ির চাপ বেড়েছে।এ প্রসঙ্গে বিধাননগর পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে মালবাহী গাড়ি ও দূরপাল্লার বাস পুজোর সময়ে যশোর রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।