দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজো। দিন দিন বেড়েছে সেই পুজোর জাঁকজমক। প্রচারে উঠে এসেছে ‘কেষ্ট কালীর’ কথা। গোটা পুজোর ভার থাকত তাঁর কাঁধে। সেই অনুব্রত মণ্ডলের এবারের কালীপুজো কাটবে জেলে। ফলে এবার পুজো হবে চাঁদা তুলে।
২০১৮ সালে কালী প্রতিমা সাজানো হয়েছিল ১৮০ ভরি সোনার গয়নায়। ২০১৯ সালে গয়নার পরিমাণ বেড়ে হয়েছিল ২৬০ ভরি। ২০২০ সালে সেই প্রতিমা সাজানো হয়েছিল প্রায় ৩০০ ভরি গয়না দিয়ে। ২০২১ সালে সোনার মুকুট, প্রতিমার সোনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭০ ভরিতে। সীতাহার, চেন, গলার চিক, চূড়, রতনচূড়, মান্তাসা, বাজুবন্ধ, টায়রা-টিকলিও ইত্যাদি। এতদিন অনুব্রত মণ্ডল নিজেই গয়নায় সাজাতেন দেবীকে। এ বছর অনুব্রত নিজেই জেলবন্দি। তাই দলের সিদ্ধান্ত জেলা কমিটির সদস্যদের সামনে দেবীকে সোনার গহনায় সাজাবেন পুরোহিত রেবতীরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সহকারী।
দেবীর এই ৫৭০ ভরি সোনার গয়নাও সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। তাই এবছর খুব যতসামান্য গয়নায় সাজানো হবে দেবীকে। শুধুমাত্র মাথায় সোনার মুকুট, গলায় হার, কানের দুল আর পায়ের নূপুর। সেগুলি ব্যাংকের লকার থেকে আসবে নাকি কারও ব্যক্তিগত হেফাজতে আছে সে ব্যাপারে কোনও নেতা কিছু বলতে চাইছেন না। তবে পুজোর খরচ চালাবেন জেলা কমিটির সদস্যরা। নিজেরা চাঁদা দিচ্ছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, “জেলা কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিবছরের মতো এবছরও মায়ের পুজো হবে। জেলা কমিটির সদস্য ও শাখা সংগঠন মিলিয়ে মোট ১৫০ জন ১০০০ টাকা করে চাঁদা দেবে। ব্যক্তিগত অসুবিধা ছাড়া জেলা কমিটির সদস্যদের সেদিন পার্টি অফিসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।”
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “কেষ্টদার অভাব অনুভূত হবে ঠিকই, কিন্তু তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কোনও কিছুতেই খামতি থাকবে না।”