দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ চন্দননগর ও বাংলার প্রাচীন শহর কৃষ্ণনগর ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলাতে জগদ্ধাত্রী পুজোর চল থাকলেও জাঁকজমক ও রাজকীয়তা দেখা যায় কেবল এই দুই শহরে। কোথাও ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত, আবার কোথাও সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এই তিনদিন পুজো করা হয়ে থাকে। আবার কোথাও আবার নবমীর দিন তিনদিনের গোটা পুজো সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।দুর্গাপুজোর মতো জগদ্ধাত্রী পুজোয় কুমারী পুজোর রীতি রয়েছে। আয়োজনও অনেকটা দুর্গাপুজোর মতোই। চন্দননগর ও কৃষ্ণনগর ছাড়িয়েও এখন বাংলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ ধুমধাম করে পালিত হয় এই জগজ্জননীর পুজো ।
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জগদ্ধাত্রী পুজোর মহানবমী পড়েছে আগামী ২১ নভেম্বর, মঙ্গলবার। শুভ মুহূর্ত সকাল ৩টে ১১ মিনিট থেকে শুরু হবে। সমাপ্ত হবে ২২ নভেম্বর, বুধবার, সকাল ৯টা ৩মিনিটে।
হিন্দুধর্ম মতে, দুর্গার আরেক রূপ হল এই জগদ্ধাত্রী। প্রায় আড়াইশো বছরের আগে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো দেখে আপ্লুত হয়ে চন্দনন্দরের চাউলপট্টীতে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন ইন্দ্রনারায়ণ। ইতিহাস অনুযায়ী, লক্ষ্মীগঞ্জের পুজোকে আদি মা রূপে পুজো করা হয়।দেবী জগদ্ধাত্রী হলেন পরমা যোগিনী। বিশ্বসংসারকে রক্ষা করতে তিনি যুগ যুগ ধরে মহাযোগবলেই ব্রহ্মময়ী রূপ ধারণ করে রয়েছেন। বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনিতে উল্লেখ রয়েছে. তিনি দেবীদুর্গাকে দুর্বা-শ্যামাও নামেও অভিহিত করা হয়।হিন্দুশাস্ত্র ও পুরাণে বলা আছে, করীন্দ্রাসুর ও মহাহস্তীরূপী অসুরকে বধ করেছিলেন দেবী জগদ্ধাত্রী। এই কারণে জগদ্ধাত্রী করীন্দ্রাসুরনিসূদিনী নামে পরিচিত। চতুর্ভুজা এই দেবী ত্রিনয়না।চণ্ডীতে বলা রয়েছে, স্বর্গরাজ্য দখল করতে ও বিশ্বসংসারকে ধ্বংস করতে মহিষাসুর এক মহাহস্তী রূপ ধারণ করে দেবীকে আক্রমণ করেছিল। অসুরবধ করতে দেবী তার মুণ্ড দেহ থেকে আলাদা করে দেন। অস্ত্র হিসেবে দেবীর হাতে থাকে তির-ধনুক।