দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: “একটু বেশিই জোরালো প্রতিবাদ করেছি। অবশেষে তার ফলাফল পেলাম। দু-দুটো বিজ্ঞাপনের কাজ হাতছাড়া হয়ে গেল। দুটো কাজ থেকেই ভাল অঙ্কের পারিশ্রমিক পেতাম।”
ইতিমধ্যে সমাজ মাধ্যমে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র কিছু অভিযোগ প্রকাশ করেছেন, আবার অনেক কিছু জানাননি,কেননা তিনি মনে করেন জানিয়েও উল্লেখযোগ্য লাভ নেই। তবে এহেন অসহযোগিতা তাঁর প্রতিবাদী মুখ বন্ধ করতে পারিনি, তিনি ধারাবাহিক ভাবে একের পর এক বক্তব্য রেখে চলেছেন আরজি কর কাণ্ড নিয়ে। তাঁর কথাতেই আক্ষেপের সুরে উঠে এসেছে বেশ কিছু কথা,দু-দুটো বিজ্ঞাপনের কাজ হাতছাড়া হয়ে গেল। ক্লায়েন্ট যোগাযোগ করেছিলেন এজেন্সির সঙ্গে। এজেন্সির যিনি প্রতিনিধি তিনি আমাকে পছন্দ করেন। চেয়েছিলেন,কাজটা আমিই করি। কিন্তু তাঁরও তো কোথাও বাধা রয়েছে। বললেন, “দিদি, আরজি কর-কাণ্ডে তোমার বক্তব্য তোমার বিরুদ্ধে গিয়েছে। তুমি সরকারের বিরোধিতা করেছ। তোমাকে দিয়ে কাজ না করানোর নির্দেশ এসেছে।”
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,আমার বক্তব্য ছিল পুলিশমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বাংলায় এই দুই পদেই মুখ্যমন্ত্রী আসীন। তা হলে কাকে বলব? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে হবে। সেটাই করেছি। তিনি বলেন,আমার মাথায় ঋণের বোঝা নেই। দামি গাড়ি, দামি বাড়ি, দামি পোশাকের বিলাসিতা নেই। বিলাসবহুল জীবন অপছন্দের ফলত, অর্থ ব্যয়ের পরিমাণ সীমিত। যতটা সৎ থেকে কাজ করা যায় ততটাই সৎ আমি। অনেকে বলেন,'এত বিতর্ক, এত বিরোধিতা যখন, তখন একটু কম কথা বলাই ভালো।' আমি তা পারব না। এই বয়সে এসে নিজেকে বদলানো সম্ভব নয়। এককালে যা উপার্জন করেছি তা উড়িয়ে নষ্ট করিনি,তাই আমার চলে যাবে। বরং এই ধরনের ঘটনা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। তখন মনে হয়,আমিই সঠিক। আর সঠিক পথে হাঁটছি বলেই আমাকে কেন্দ্র করে আজ এত কথার সৃষ্টি।