দুরন্তবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন টেলিভিশনের পরিচিত মুখ পূজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্বামী কুণাল বর্মা। তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন প্রযোজক শ্যামসুন্দর দে। আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, গোয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন পরিবারের সঙ্গে। কিছু দিন পর স্ত্রী ও কন্যা ফিরে এলেও, কাজের কারণে তিনি সেখানেই ছিলেন।প্রথমদিকে পূজা-কুণালের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক স্বাভাবিক ছিল। কোনও বিবাদ হয়নি। কিন্তু ৩১ মে হঠাৎই বদলে যায় পরিস্থিতি। একটি ভাড়ার গাড়িতে গন্তব্যে যাওয়ার সময় আচমকা পথরোধ করেন পূজা ও কুণাল—সঙ্গে একদল দুষ্কৃতী।
শ্যামসুন্দরের দাবি, “আমি হতচকিত হয়ে যাই। কিছু বোঝার আগেই ওঁরা জোর করে আমাকে গাড়িতে তুলে একটি অচেনা বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে বন্দি করে রাখেন। যদিও মুক্তিপণ দাবি করেননি, তবে বলেন, তাঁদের পাওনা টাকা ফেরত চাই।”এই ঘটনায় শিল্পীমহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও পূজা বা কুণালের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মেলেনি, পূজার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখা, "ভগবান সব দেখছেন"—ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকেই।
এই ঘটনার পর মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন অভিনেত্রী। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন।সকাল সকাল নীতিকথা শোনালেন নায়িকা। লিখলেন, ‘‘কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই পরিস্থিতিতে যাঁরা আমাদের পাশে রয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ।’’ যাঁরা বিরুদ্ধাচরণ করেছেন,তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলতে রাজি নন পূজা। তিনি বললেন, ‘‘যাঁরা মিথ্যে কথা রটাচ্ছেন তাঁদেরও ঈশ্বর মঙ্গল করুন। ভগবান সব দেখছেন।’’
ঠিক কী ঘটেছে?
সম্প্রতি পূজা জানান, তাঁদের সব টাকা খোয়া গিয়েছে। তিন বছর ধরে বন্ধুত্ব ছিল একজনের সঙ্গে। প্রায় পরিবারের মতোই ছিলেন তাঁরা। সেই বন্ধুই প্রতারণা করেছেন। পূজা জানিয়েছেন, গত ৩-৪ মাস অত্যন্ত কষ্টকর ছিল তাঁদের জন্য। আগামী দিনে কী হবে, তা নিয়ে চিন্তায় দম্পতি।গত কয়েক মাস যে কতটা কঠিন ছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন—বলছেন দম্পতি। পূজার কথায়, “গত তিন-চার মাস এতটাই যন্ত্রণার ছিল যে বারবার ভেঙে পড়েছি। কতবার কেঁদেছি, কতবার স্তব্ধ হয়ে গিয়েছি। আজ আমরা একেবারে শূন্য থেকে আবার শুরু করছি। আমাদের সব কষ্টার্জিত অর্থ লোপাট হয়েছে।”
এই দুর্দিনে দর্শকদের কাছে পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছেন পূজা। তাঁর স্বামী কুণাল অনুরোধ করেছেন, তাঁরা যে কাজ করছেন, তা যেন মানুষ দেখেন ও সমর্থন করেন।
তবে, যাঁর বিরুদ্ধে এই প্রতারণার অভিযোগ, তাঁর নাম এখনো প্রকাশ্যে আনেননি পূজা বা কুণাল কেউই। কত টাকার ক্ষতি হয়েছে, সেটিও খোলসা করেননি তাঁরা। তবু পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝিয়ে দিয়েছেন দু'জনেই—যেখানে একটিবার ভরসা ভেঙে পড়লে জীবনের ভিতই কেঁপে ওঠে।