দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পাকিস্তানকে একঘরে করে দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যেগী হতে শুরু করে দিয়েছে দিল্লি। বারবার পাকিস্তান যেভাবে ভারতের দিকে তাক করে তোপ দাগতে শুরু করে দিয়েছে তাতে ভারত কূটনীতির দিক দিয়ে একেবারে নেই বলা যেতে পারে। চিনকে পাশে পেয়ে বেশি করে ভারত বিরোধী কথা বলতে শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান| সেটা এখন রাষ্ট্রপুঞ্জ পেঁছে গিয়েছে। পুলওয়ামার ঘটনার পর পাকিস্তান চুপ করে ছিল। ভারতই কূটনীতি কৌশল অবলম্বন করে পাকিস্তানকে একেবারে চুপ করিয়ে দিয়েছিল| কিন্তু এখন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে পাকিস্তান ভারত বিরোধিতায় সরব হয়েছে| পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গদিতে বসেছিলেন ভারত প্রধানমন্ত্রী বিরোধী কথা বলে| তারপরে তিনি গদিচু্যত হয়েছিলেন ভারতের হয়ে কথা বলার দরুন। তিনি রাশিয়া থেকে ফিরে ভারতের প্রশংসা করতে শুরু করে দিয়েছিলেন| ভারত ও ইউক্রেনে পড়া পাকিস্তানী ছাত্রদের সেনা বিমানে করে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছিলেন। তাতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এতেই একেবারে সেনা কর্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তারা বুঝতে পারে এতদিন ধরে যে ভারত বিরোধী কথা বলে তারা বিশেষ সুবিধা লাভ করছিল, এবারে ইমরানের ভারত প্রশংসা তাতে বাধ শুরু করে দিয়েছে। ইমরান খানকে এখইন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বিদায় দিতে হবে। তার ফলে সেনারাই রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে ইমরান খানের প্রতি অনাস্থা আনার চেষ্টা করে সংসদে। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতিও ইমরান খানের আচারণে ক্ষুব্ধ হতে থাকেন। এমনকী পাক সেনার প্রধানও ইমরানকে একেবারে অপচ্ছন্দ করতে থাকে। পাকিস্তানের তখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি ইমরান বিরোধী হয়ে উঠতে থাকে। তার ফলে ইমরান খানকে গদি থেকে সরে যেতে হয়। সেই গদিকে উদ্ধার করতে এবারে ইমরান মার্চ শুরু করে দেন। তিনি লাহোর থেকে ইসলামাবাদ পর্যন্ত মার্চ করার ডাক দেন। এর ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে পাক প্রশাসন। বিশেষ করে পাকিস্তান গুপ্তচর বিভাগ। তারাই পরিকল্পনা করে ইমরান খানকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করতে শুরু করে বলে বিশেষ সূত্র থেকে জানতে পারা যায় । ইমরান খানের দিকে তাক করে গুলি বর্ষন করা হয়। ইমরান খান বলেন তাঁকে হত্যা করার ছক কষতে শুরু করে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং সেনা প্রধান। জঙ্গিরাও ইমরান খানকে চাইছিল না। তার একটি মাত্র কারণ হচ্ছে জঙ্গিরা আন্তর্জাতিক আর্থিক সাহায্য পাচ্ছিল ভারত বিরোধিতা করার মধ্যে দিয়ে।
ভারতে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে খবর ছিল যে খলিস্তানপন্থীরা পাকিস্তানের জঙ্গিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বর্তমান মোদি সরকারকে হেনস্থা করা এবং এই সরকারকে গদিচু্যত করা। কিন্তু সেটা করতে পারছে না ভারত সরকার। ভারত কোনও সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে গদিচ্যুত করার চক্রান্ত করবে না| মোদি যদি নির্বাচনে হেরে যান তাহলে সেটা আলাদা ব্যাপার| কিন্তু পকিস্তানের মতো প্রধানমন্ত্রী মোদিকে গদিচ্যুত করার দিকে প্রশাসনের মন একেবারে নেই|
বিদেশ মন্ত্রী পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোর মন্তব্যকে অসভ্যতার চূড়ান্ত নিদর্শন বলে বেখ্যা দিতে কসুর করেনি| যেভাবে পাকিস্তান হঠাৎ করে ভারত বিদ্বেষ হতে শুরু করে দিয়েছেন তাতে মনে করা হচ্ছে এর পিছনে চিনের উস্কানি রয়েছে| চিন বারবার পাকিস্তানকে রক্ষা করেছে| পাকিস্তানকে সন্ত্রাস রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করার ব্যাপারেও চিন ভেটো দিয়েছিল| এমনকী চিন সব সময়ে সন্ত্রাসবাদীদের ব্যাপারে পাকিস্তানের পক্ষে থাকছে| এবারে পাকিস্তানের মূল লক্ষ্যই হল কাশ্মীর| কাশ্মীর পাকিস্তানের বিদেশ নীতি| যতদিন কাশ্মীর ভারতের মধ্যে থাকবে ততদিন পাকিস্তান একেবারে গঁদের আঠার মতো ভারতের সঙ্গে সমান তালে বিরোধিতা করতে থাকবে| পাকিস্তানের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার কোন জো নেই| সেই কথা বলতে শুরু করে দিয়েছেন পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো| আন্তর্জাতিক রাজনীতির পরিবেশের মধ্যে ভারত পাকিস্তান অবস্থান ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে পড়তে শুরু করে দিয়েছে| এর জন্য পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী দিকে তাক করে দোষারোপ করা শুরু হয়ে গিয়েছে| ভারত বারবার পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রীকে সংযত হয়ে কথা বলার চেষ্টা করাতে ব্যর্থ হয়েছে| পাকিস্তানের একজন মহিলামন্ত্রী তো সরাসরি ভারতের দিকে তাক করে হুমকি দিয়েছেন পরমাণু অস্ত্রের| তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী হইচই শুরু হতেই সেই মহিলা মন্ত্রী তাঁর মন্তব্য থেকে সরে এসেছেন| এই রকম পরিস্থিতিতে ভারত এখন চেষ্টা করছে পাকিস্তানকে একঘরে করে দেওয়ার|
ভারতের পক্ষে ইসলমান দেশগুলিকে একসঙ্গে নিয়ে ভারত বিদ্বেষ থেকে পাকিস্তানকে কীভাবে সরিয়়ে দেওয়া সম্ভব এবং পাকিস্তানকে কূটনীতির মধ্যে দিয়ে কীভাবে ফাটল ধরিয়ে দেওয়া সম্ভব তা নিয়ে কৌশল অবলম্বন করতে শুরু করে দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক| ভারত পরিস্কার করে বলে দিয়েছে যে পাক হুমকি ভারতকে একেবারে ঠাণ্ডা করতে পারবে না| পাকিস্তান যেমন ভারতকে দোষ দিতে শুরু করে দিয়েছে সন্ত্রাসবাদী প্রশ্নে ঠিক সেই রকমভাবে ভারতও বিদ্বেষ রাজনীতি ছড়াতে পাকিস্তানকে দায়ী করে একঘরে করে দেওয়ার চেষ্টা করবে| পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী বিলাবল ভুট্টোর কথাতে একবারে সন্তুষ্ট হতে পারছে না| যেভাবে বিলাবল ভুট্টো ভারতের দিকে তাক করে আক্রমণ করতে শুরু করে দিয়েছ তার পিছনে চিনের সায় রয়েছে সেটা ক্রমশ পরিস্কার হতে শুরু করে দিয়েছে| চিনও যেমন সীমান্ত সমস্যা সমাধান করতে চায় না ঠিক সেই রকম পাকিস্তানও সীমান্ত সমস্যার সমাধান চায় না| দুই এখন একটি সমান্তরাল সরল রেখা ধরে এগিয়ে চলার চেষ্টা করছে| এদিকে পাকিস্তানকে একেবারে জব্দ করে দেওয়ার ব্যাপারে ভারত ইতিমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করে দিয়েছে| সংযুক্ত আমির শাহী এবং আরব দেশগুলির সঙ্গে ভারত এই প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছে| এমনকী ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ভারত সুসম্পর্ক তৈরি করে ফেলেছে| ভারত খুবই শীঘ্রই ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্র ইন্দোনেশিয়াকে বিক্রি করবে বলে জানতে পারা গিয়েছে| তুরস্কের সঙ্গে ভারত সম্পর্কের উন্নতি করার কথা ভাবতে শুরু করেছে| ইরান এবং ইরাকের সঙ্গে ভারত সম্পর্ক তৈরি করতে শুরু করেছে| এমনকী কাতারের সঙ্গে ভারত ইতিমধ্যে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে| কূটনীতির যোগাযোগের ওপরে বেশি করে জোর দিতে শুরু করেছে ভারত| ইসলামিক দেশগুলির সঙ্গে ব্যবসায়িক এবং আর্থিক সম্পর্ক তৈরি করার জন্য একটি রূপরেখা নির্মাণ করতে শুরু করে দিয়েছে ভারত| ইসলাম দেশগুলির সঙ্গে মৈত্রী সম্পর্ক অটুট করার দিকে পা ফেলতে শুরু করে দিয়েছে ভারত| পাকিস্তান যাতে কোনও রকমভাবে ইসলামিক দেশগুলির কাছ থেকে মদত না পায় এবং আর্থিক সহায়তা লাভ না করতে পারে| পাকিস্তান দেশটা এখন আর্থিক সহায়তার ওপরে নির্ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে| চিন আর্থিক দিক দিয়ে সহায়তা করছে পাকিস্তানকে| তার বিনিময়ে চিন এখন পাকিস্তানের নৌ বন্দর থেকে শুরু করে বিমান বন্দরগুলি ব্যবহার করার সৱুজ সঙ্কেত পেয়ে গিয়েছে| চিন যেভাবে ভারতের ব্যাপারে মুখ বুজে কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে সেটা কিন্তু পাকিস্তান করছে না| পাকিস্তান বারবার ভারত বিরোধিতায় সোচ্চার হতে শুরু করেছে|
কিন্তু চিন ভারত বিরোধিতায় সোচ্চার না হয়ে সীমান্ত এলাকায় অলিখিত উত্তেজনা সৃষ্টি করতে শুরু করেছে| চিনের কাজই হচ্ছে ভারতের সীমান্ত এলাকাকে তাদের দখলে রাখা| এই দৃষ্টিকোন থেকে চিন একেবারে সরছে না| পাশে পেয়ে গিয়েছে পাকিস্তানকে| চিন দেশে প্রশাসন বিরোধী মানসিকতা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল| সেখানকার জনগণ সরকারের ওপরে ক্রমশ ক্ষিপ্ত হতে থাকে| করোনা বিধি এতখানি কঠোর হয়েছিল যে চিনা নাগরিকেরা একেবারে অসন্তুষ্ট হতে শুরু করে| তারা করোনা বিধিনিষেধকে অমান্য করতে থাকে| সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে| চিন দেশের নাগরিকেরা আর কমিউনিস্ট সরকারের প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে পারছে না| তারা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার পক্ষে সায় দিতে শুরু করেছে| চিনের প্রতিটি শহরে এখন দেখতে পাওযা যায় সরকার বিরোধিতা করে কোনও না কোনও মিছিল মিটিং হচ্ছে| তার ফলে চিনের সরকার এখন সেখানকার নাগরিকদের মনকে জুগিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে শুরু করেছে| করোনা বিধি নিষেধ রহিত করা হয়েছে| ব্যক্তি স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম শিথিল করা হয়েছে যেখানে মানুষ খোলামেলা ভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে| তিয়েন মেন স্কোয়ারে মতো পরিস্থিতি আজকে আর চিনে নেই| একটি সময়ে চিন সরকার সেনা বাহিনী নিয়োগ করে চিনের গণতান্ত্রিক প্রেমী মানুষরে নির্বিচারে হত্যা করেছিল| বহু ৱুদ্ধিজীবীদের কারাগারে বন্দি করে রেখে দিয়েছিল| বহু ছাত্রদের প্রকাশ্যে বা রাতের অন্ধকারে হত্যা করেছিল| সেই রকম পরিস্থিতি আজকে আর চিনে নেই| এখন চিন প্রশাসনকে সমলে চলতে হবে| কারণ চিনের জনগণ আজকে অনেক বেশি সচেতন| তারা সরকারের সিদ্ধান্তে বিচার বিশ্লেষণ করতে শুরু করে দিয়েছে| তার ফলে চিন সরকারকে সতর্ক হয়ে পা ফেলতে হচ্ছে| জনগণকে একেবারে ক্ষিপ্ত করে চিন সরকার একচেটিয়াভাবে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছে না| চিনের অধিকাংশ জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে চিন সরকার জানে করোনা ভাইরাস কোথা থেকে উত্পত্তি হয়েছিল| উহান গবেষণারগারের ব্যাপারে চিন সরকার কোনও রকম রথা বলতে পারছে না| এমনকী আমেরিকার একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করেছে যে চিনের উহান গবেষনাগারে করোনা ভাইরাসের গবেষণার করার ব্যাপারে আমেরিকা লগ্নি করেছিল| আমেরিকা চিন এ ব্যাপারে সব কিছুই তারা জানে| চিন সরকার উহানের ব্যাপারে চুপ করে থাকলে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা পরিস্কার করে প্রকাশ্যে সব খবর ফাঁস করে দিয়েছিলেন| তাতে চিন সরকার একেবারে ট্রাম্পের ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে|
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেছিলেন সারা বিশ্বের যা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা চিনের কাছ থেকে আদায় করতে হবে| চিনই করোনা ভাইরাসকে সারা বিশ্বে ছডিয়ে দিয়েছে| রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিরা উহান গবেষণাগারে উপস্থিত হয়ে কোনও করোনা ভাইসারে সন্ধান পায় নি| তখন তো চিন একেবারে সব কিছু ধুঁয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে| কোনও চিহ্ন উহান গবেষণাগারে রাখেনি| তার ওপরে উহান গবেষণাগারকে পুরস্কৃত করেছিল চিন সরকার উচ্চ মানের গবেষণা করার জন্য| সেই চিন সরকার এখন পাকিস্তানকে মদত দিতে শুরু করে দিয়েছে| পরমানু অস্ত্র তৈরি করার ব্যাপারে পাকিস্তানকে চিন সরকার সহায়তা করতে পারে বলে ভারত অনুমান করতে শুরু করে দিয়েছে| ভারতের বিদেশ মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে পাকিস্তান যে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র তা ভারত জানে| কিন্তু কতখানি পরমাণু শক্তি পাকিস্তান অর্জন করতে পেরেছে তার দিকে লক্ষ্য রাখতে শুরু করেছে ভারত| এই উপমহাদেশে যদি পরমাণু হামলা হতে শুরু করে তাহলে গোটা এশিয়ার দেশগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে| সেটা পাকিস্তান জানলেও বোঝার চেষ্টা করছে না| পাকিস্তান এখন চিনেৰ উস্কানিতে মত্ত হয়ে উঠার চেষ্টা করছে এবং ভারত বিরোধী তোপ দাগতে শুরু করেছে| নেই বলা যেতে পারে| চিনকে পাশে পেয়ে আর বেশি করে ভারত বিরোধী কথা বলতে শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান| সেটা এখন রাষ্ট্রপুঞ্জ পেঁছে গিয়েছে| পুলওয়ামার ঘটনার পর পাকিস্তান চুপ করে ছিল| ভারতই কূটনীতি কৌশল অবলম্বন করে পাকিস্তানকে একেবারে চুপ করিয়ে দিয়েছিল| কিন্তু এখন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে পাকিস্তান আবার ভারত বিরোধিতায় সরব হয়েছে| এই দৃষ্টিকোন থেকে চিন একেবারে সরছে না| পাশে পেয়ে গিয়েছে পাকিস্তানকে| চিন দেশে প্রশাসন বিরোধী মানসিকতা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল| সেখানকার জনগণ সরকারের ওপরে ক্রমশ ক্ষিপ্ত হতে থাকে| করোনা বিধি এতখানি কঠোর হয়েছিল যে চিনা নাগরিকেরা একেবারে অসন্তুষ্ট হতে শুরু করে| তারা করোনা বিধিনিষেধকে অমান্য করতে থাকে| সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে| চিন দেশের নাগরিকেরা আর কমিউনিস্ট সরকারের প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে পারছে না| তারা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার পক্ষে সায় দিতে শুরু করেছে| চিনের প্রতিটি শহরে এখন দেখতে পাওযা যায় সরকার বিরোধিতা করে কোনও না কোনও মিছিল মিটিং হচ্ছে| তার ফলে চিনের সরকার এখন সেখানকার নাগরিকদের মনকে জুগিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে শুরু করেছে| করোনা বিধি নিষেধ রহিত করা হয়েছে| ব্যক্তি স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম শিথিল করা হয়েছে যেখানে মানুষ খোলামেলা ভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারবে| তিয়েন মেন স্কোয়ারে মতো পরিস্থিতি আজকে আর চিনে নেই| একটি সময়ে চিন সরকার সেনা বাহিনী নিয়োগ করে চিনের গণতান্ত্রিক প্রেমী মানুষরে নির্বিচারে হত্যা করেছিল| বহু ৱুদ্ধিজীবীদের কারাগারে বন্দি করে রেখে দিয়েছিল| বহু ছাত্রদের প্রকাশ্যে বা রাতের অন্ধকারে হত্যা করেছিল| সেই রকম পরিস্থিতি আজকে আর চিনে নেই| এখন চিন প্রশাসনকে সমঝে চলতে হবে| কারণ চিনের জনগণ আজকে অনেক বেশি সচেতন| তারা সরকারের সিদ্ধান্তে বিচার বিশ্লেষণ করতে শুরু করে দিয়েছে| তার ফলে চিন সরকারকে সতর্ক হয়ে পা ফেলতে হচ্ছে| জনগণকে একেবারে ক্ষিপ্ত করে চিন সরকার একচেটিয়াভাবে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছে না| চিনের অধিকাংশ জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে চিন সরকার জানে করোনা ভাইরাস কোথা থেকে উৎপত্তি হয়েছিল| উহান গবেষণারগারের ব্যাপারে চিন সরকার কোনও রকম রথা বলতে পারছে না| এমনকী আমেরিকার একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করেছে যে চিনের উহান গবেষনাগারে করোনা ভাইরাসের গবেষণার করার ব্যাপারে আমেরিকা লগ্নি করেছিল| আমেরিকা চিন এ ব্যাপারে সব কিছুই তারা জানে| চিন সরকার উহানের ব্যাপারে চুপ করে থাকলে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা পরিস্কার করে প্রকাশ্যে সব খবর ফাঁস করে দিয়েছিলেন| তাতে চিন সরকার একেবারে ট্রাম্পের ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে| আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ন্ডারও বলেছিলেন সারা বিশ্বের যা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা চিনের কাছ থেকে আদায় করতে হবে| চিনই করোনা ভাইরাসকে সারা বিশ্বে ছডিয়ে দিয়েছে| রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিরা উহান গবেষণাগারে উপস্থিত হয়ে কোনও করোনা ভাইসারে সন্ধান পায়নি| তখন তো চিন একেবারে সব কিছু ধুঁয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে| কোনও চিহ্ন উহান গবেষণাগারে রাখেনি| তার ওপরে উহান গবেষণাগারকে পুরস্কৃত করেছিল চিন সরকার উচ্চ মানের গবেষণা করার জন্য| সেই চিন সরকার এখন পাকিস্তানকে মদত দিতে শুরু করে দিয়েছে| পরমানু অস্ত্র তৈরি করার ব্যাপারে পাকিস্তানকে চিন সরকার সহায়তা করতে পারে বলে ভারত ন্ডনুমান করতে শুরু করে দিয়েছে| ভারতের বিদেশ মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে পাকিস্তান যে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র তা ভারত জানে| কিন্তু কতখানি পরমাণু শক্তি পাকিস্তান অর্জন করতে পেরেছে তার দিকে লক্ষ্য রাখতে শুরু করেছে ভারত| এই উপমহাদেশে যদি পরমাণু হামলা হতে শুরু করে তাহলে গোটা এশিয়ার দেশগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে| সেটা পাকিস্তান জানলেও বোঝার চেষ্টা করছে না| পাকিস্তান এখন চিনেৰ উস্কানিতে মত্ত হয়ে উঠার চেষ্টা করছে এবং ভারত বিরোধী তোপ দাগতে শুরু করেছে