দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃসুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) লাগাতার ভর্ৎসনার মধ্যেই ফের ধাক্কা খেল পতঞ্জলি। এবার রামদেবের সংস্থার ১৪টি পণ্যের লাইসেন্স বাতিল করল উত্তরাখণ্ড সরকার। সেই সঙ্গে রামদেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে সেরাজ্যের সরকারের তরফে। পতঞ্জলির বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলেও শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
উত্তরাখণ্ড ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ পতঞ্জলির দিব্য ফার্মেসি কোম্পানির ১৪টি পণ্য নিষিদ্ধ করেছে। সূত্রের দাবি, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মামলায় দিব্য ফার্মাসির এসব পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে পণ্যগুলোর লাইসেন্স বাতিল হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, শ্বাসারি গোল্ড, শ্বাসারী ভাটি, দিব্য ব্রঙ্কম, শ্বাসারি প্রবাহী, শ্বাসারি আভালেহ, মুক্ত ভাটি এক্সট্রা পাওয়ার, লিপিডম, বিপি গ্রিট, মধুগ্রিত, মধুনাশিনী ভাটি এক্সট্রা পাওয়ার, লিভামৃত অ্যাডভান্স, লিভোগ্রিট গোল্ড, এবং পতঞ্জলি দৃষ্টি আইড্রপ।
ড্রাগস অ্যান্ড ম্যাজিক রেমেডিজ অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে বাবা রামদেবের বিরুদ্ধে। উত্তরাখণ্ড সরকার গত ১৫ এপ্রিলই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছিল বলে জানা যাচ্ছে।
পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা চলছে। এই আবহে আদালত অবমাননার জন্যে রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে বারবার ভর্ৎসনার শিকার হতে হয়েছে শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চেয়েও রেহাই পাননি তাঁরা। উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল বাবা রামদেব এবং পতঞ্জলির মালিক বালকৃষ্ণর ফের একদফা ক্ষমাভিক্ষা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত রামদেব এবং পতঞ্জলি কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করে বলে, আমরা অন্ধ নই। পতঞ্জলির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় উত্তরাখণ্ডের লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষকে সমালোচনায় বিদ্ধ করে সর্বোচ্চ আদালত। কেন্দ্রের জবাবেও আদালত সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং এ আমানুল্লার বেঞ্চ বলে, কাগজে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু, ওদের পিঠ দেওয়ালের বিপরীতে খাঁড়া রয়েছে। অর্থাৎ ওরা আইনের তোয়াক্কা করছে না। তাই আমরা এই ক্ষমাপ্রার্থনা আর্জি গ্রহণ করছি না। আমরা এটাকে ইচ্ছাকৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ বলে গণ্য করছি। এবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চলাকালীনই পতঞ্জলির বিরুদ্ধে এই কড়া পদক্ষেপ করল উত্তরাখণ্ড সরকার।