দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রী-সহ ‘আপার বার্থ’ বা উপরের আসন মাথায় পড়ে মৃত্যু হয়েছে কেরলের এক প্রৌঢ়ের।কেরল থেকে নয়া দিল্লিগামী এর্নাকুলাম-হজরত নিজামুদ্দিন মিলেনিয়াম সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে রেলের বিরুদ্ধে।
একটি মামলাও রুজু করেছে রেল পুলিশ তবে এই ঘটনায় রেলের সাফাই, এস/৬ কোচের ৫৭ নম্বর বার্থে যে যাত্রী ছিলেন তিনি ঠিকমতো বার্থটিকে চেইনের সঙ্গে আটকাতে পারেননি। তাই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মাঝের সিটটি ভেঙে পড়েনি, খুলে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, মৃত যাত্রীর নাম আলি খান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। গত সপ্তাহে বন্ধু মহম্মদের সঙ্গে তিনি দিল্লি যাচ্ছিলেন স্লিপার কোচে চড়ে। নীচের সিটে বসে থাকার সময় আচমকা তাঁর উপরে ভেঙে পড়ে মিডল বার্থটি। গুরুতর আঘাত পান আলি। ঘাড় ভেঙে যায় তাঁর।
ট্রেন থামলে তাঁকে নামিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঘাড়ের অস্ত্রোপচারও করা হয়, তবে শেষরক্ষা হয়নি। তিনি মারা যান।
মালাপ্পুরমের পোন্নানির বাসিন্দা আলি খান পেশায় এলআইসি এজেন্ট ছিলেন। দিল্লি এবং আগ্রা ঘুরতে যাচ্ছিলেন বন্ধু মহম্মদের সঙ্গে। দুঃস্বপ্নেও কেউ ভাবেননি, এটাই শেষ যাত্রা হবে তাঁর।
১৬ জুন সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, উপর, নীচ এবং মাঝের তিনটি বার্থেই যাত্রীরা শুয়ে ছিলেন। নীচের সিটে ছিলেন আলি। আচমকা প্রচণ্ড শব্দ হয় এবং মাঝের বার্থটি যাত্রী-সহ ভেঙে নীচের বার্থের উপরে পড়ে। বার্থ এবং যাত্রীর মিলিত ওজন সোজা এসে পড়ে ওই প্রৌঢ়ের উপর।
তেলেঙ্গানার ভিতর দিয়ে ট্রেনটি যাচ্ছিল তখন। সহযাত্রীরা বিষয়টি টিটিইকে জানালে, আরও অনেকক্ষণ পরে ট্রেন থামে বলে অভিযোগ। শেষমেশ ওয়ারঙ্গল স্টেশনে ট্রেন থেকে নামিয়ে আলিকে হায়দরাবাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।