দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাড়ির আশপাশে জঙ্গল-ঝোপ-ঝাড়ে পাওয়া যায় এই পাতা। দেশি শাক-পাতার কত যে গুণ তার আভাস পাওয়া যায় ঠাকুমা-দিদিমাদের বিভিন্ন টোটকায়। এমনই একটি খুবই চেনা শাক হল খারকোল পাতা। এটি এক প্রকার কচু শাক।
এই পাতাকে একেক জায়গায় ভিন্ন নামে ডাকা হয়। কেউ বলেন ঘ্যাটকোল, ঘাটকোল, খারকোল, কেউ আবার বলেন খারকন, ঘেঁটকচু, ঘেটকুল বলেন। টনসিলের ব্যথা, গলায় অ্যালার্জি, সর্দি-কাশিতে দারুণ উপকারী।
শুধু তাই না, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, খনিজ লবন, আয়রন, ফাইবার, ভিটামিন সি। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলেও এটি খেতে পারেন। তবে অ্যালার্জি থাকলে এটি এড়িয়ে চলুন।
এই পাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। থাকে অ্যান্টি এজিং উপাদানও। যা ত্বকের জন্য ভাল। ত্বক সহজে বুড়িয়ে যেতে দেয় না। ত্বক অনেক বেশি টানটান থাকে।
যেহেতু জঙ্গলে হয় তাই এই পাতা খুব ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। নইলে এর মধ্যে ধুলো-বালি অনেক বেশি থাকে। এর থেকে পেট খারাপ হয়ে যেতে পারে। পাতা ভাল করে ধুয়ে জল ঝরাতে দিন। একটা কড়াইতে কালো জিরে, ২০ কোয়া রসুন, কাঁচা লঙ্কা ৬ টা নিয়ে শুকনোই নেড়ে নিতে হবে অল্প আঁচে। এবার পাতাগুলো কুচিয়ে নিতে হবে।
একটা পাত্রে এই রসুন শুকনো লঙ্কা তুলে রাখুন। অকি কড়াইতে খারকোল পাতা নিয়ে ১ চামচ পরিমাণ নুন দিয়ে কড়াইতে বসিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখলেই জল বেরিয়ে আসবে। হাই ফ্লেমে রেখেই জল শুকিয়ে নিতে হবে। জল ভাল না শুকোলে গলা ধরতে পারে।
কালো জিরে, কাঁচালঙ্কা, রসুন শিলে ভাল করে বেটে নিতে হবে। সব বাটা হলে এবার ওর মধ্যে খারকোল পাতা সেদ্ধ দিয়ে বেটে রাখতে হবে। এই বাটা কিন্তু শিলনোড়াতে বাটলে বেশি স্বাদ।
এবার কড়াইতে সরষের তেল গরম করে ওর মধ্যে খারকোল পাতা বাটা দিয়ে দিতে হবে। নেড়ে চেড়ে যত শুকনো হবে ততই ভাল। এতে গলা কম ধরবে। এই পাতা খুব ভাল করে ভেজে শুকনো করে নিতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে এই পাতাবাটা খুব ভাল লাগে খেতে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)