দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ২০২৩ সালেও এমন ঘটনা ঘটে। বিশ্বাস বা অবিশ্বাস বড়ো কথা নয়,বড়ো কথা হলো মানুষের অভিজ্ঞতা। ঘটনার সূত্রপাত আড়াই বছর আগে গ্রামের যুবক পারিবারিক অশান্তির কারণে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। তাঁর অতৃপ্ত আত্মা গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। গত শনিবার গ্রামেরই বাসিন্দা রিপণ সিংহকে সৌরভের অতৃপ্ত আত্মা ‘ভর’ করেছিল বলেই মনে করেন স্থানীয়রা। তার জেরে রিপণ অসলগ্ন কথাবার্তা বলছিল এবং পরিবারের কাউকে চিনতে পারছিল না।শেষে ওঝা এসে তাকে ঠিক করে। রিপনের মায়ের দাবি, শনিবার রাতে তাঁর ছেলে একটি অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। রিপণের শরীরে এত শক্তি সঞ্চার হয়েছিল যে বেশ কয়েকজন যুবক তাঁকে নাকি ধরে রাখতে পারছিলেন না। তাই রাতে বাইরে থেকে ওঝা ডেকে এনে ঝাড়ফুঁক করানো হয়। এখন স্বাভাবিক রয়েছে সে।
গ্রামের অন্য এক বাসিন্দা স্বপন সরকারের অভিজ্ঞতা আবার একটু অন্যরকম। মঙ্গলবার রাতে শৌচকর্ম সারতে বাড়ি থেকে বেরন। সেই সময় তিনি কিছু অস্বাভাবিক ঘটনার সাক্ষ্মী হন বলেই দাবি। মনে হয় কেউ যেন রান্নাঘরের টিনের চালে দাপাদাপি করছে। পরক্ষণেই আবার সে নাকি স্বপনবাবুর ঘাড়ে উঠে দাপাদাপি করতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে টর্চ জ্বালালেও, কাউকে দেখা যায়নি বলেই দাবি। বাড়ি ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্বপনবাবু। অতিরিক্ত ঘামতে শুরু করেন।
এর পরেই ওঝার নিদান এক কোয়া রসুন পকেটে রাখলে আর অতৃপ্ত আত্মা ভর করবে না। এখন সবাই বাড়ির বাইরে বের হলে পকেটে এক কোয়া রসুন রাখছে।আপাতত গ্রামজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, সৌরভের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরেও পিণ্ডদান না করায় এমন ঘটনা ঘটছে। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে সৌরভের বাবার কাছে গয়ায় গিয়ে পিণ্ডদানের আরজি জানানো হয়েছে।
যেহেতু খবর,তাই নিউজ হিসাবে এই কুসংস্কারের খবর দিতে বাধ্য হলাম আমরা।