আগরতলা : ত্রিপুরার ৪৯টি ধান ক্রয় কেন্দ্র থেকে এই ধান ক্রয় করা হবে। ১১ ডিসেম্বর সিপাহীজলা জেলার মেলাঘরের একটি ধান ক্রয় কেন্দ্র থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের সূচনা হবে।আগামী ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪-এর মধ্যে ধান ক্রয় করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর এবং খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তর আয়োজিত যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এ সংবাদ জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী জানান, আগামী এই বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথের সভাপতিত্বে শনিবার রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমার মহকুমাশাসক, ৮টি জেলার কৃষি আধিকারিক সহ খাদ্য দপ্তরের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের সাথে ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। খাদ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালে রাজ্যে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বছরে ২ বার করে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে রাজ্য সরকাররাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে এবারের খারিফ মরশুমে ৪০ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতি কেজি ধান ২১ টাকা ৮৩ পয়সা দরে ক্রয় করা হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ জানান, রাজ্যের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা শুরু করে। কৃষকদের কৃষি কাজে উৎসাহিত করার পাশাপাশি তারা যেন উৎপাদিত ফসলের নায্য মূল্য পান সেজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ৯১ হাজার ৩৭৭ জন কৃষকের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ২১৯ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হয়েছে। এর ফলে কৃষকরা ৩৪২ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। ২০১৮-১৯ সালে প্রতি কেজি ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ছিল ১৭ টাকা ৫০ পয়সা, ২০১৯-২০ সালে ১৮ টাকা ১৫ পয়সা, ২০২০-২১ সালে ১৮ টাকা ৬৮ পয়সা, ২০২১-২২ সালে ১৯ টাকা ৪০ পয়সা, ২০২২-২৩ সালে ২০ টাকা ৪০ পয়সা এবং এখন ২১ টাকা ৮৩ পয়সা।