আগরতলা : হাঁপানিয়াস্থিত ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভেতর জেনেরিক ওষুধ ব্যবসায়ীরা চড়া দামে ওষুধ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই জেনেরিক ওষুধের দোকান যাতে শীঘ্রই বন্ধ করে দেওয়া হয় তার দাবি জানিয়ে হাসপাতাল সুপারের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করেন হাসপাতাল সংলগ্ন ওষুধের দোকানের মালিকরা।
জানা গেছে, ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বাইরে প্রায় ৩০ জন ওষুধ ব্যবসায়ী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ব্যবসা করছেন। কিন্তু এক মাস আগে হাসপাতালের ভেতরে আইরেইস মেডিটেক সলিউশন নামে একটি সংস্থা জেনেরিক কাউন্টার খুলেছে। দেখা গেছে, বাইরে যে সব দোকান রয়েছে সেগুলিতে ওই দোকানের তুলনায় অনেক কম দামে ওষুধ বিক্রি করা হয়, জানান দোকানের মালিকরা।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্টিলাইজার মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইজিং অথরিটি দেশের সাধারণ ও গরিব মানুষের কথা মাথায় রেখে তাঁদের ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে ওষুধের দাম নির্ধারণ করে। নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত ওষুধকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে একটি হল অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অপরটি কম প্রয়োজনীয়। কোন কোন ওষুধ অতি প্রয়োজনীয় তা স্থির করে দেশের নীতি আয়োগ। ফলে এই তালিকার মূল্যবৃদ্ধির হার যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা হয়।