Travel

1 year ago

Travel:এক বেলার ঘুরে আসুন 'সবুজদ্বীপ' - উদ্বেলিত আনন্দধারা

travel5
travel5

 

 দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ  না,এটা কিন্তু প্রখ্যাত লেখক সুনীল গাঙ্গুলির আন্দামানের সেই 'সবুজ দ্বীপের রাজা' নয়, এটা ঘরের পাশেই ভাগীরথীর মধ্যে গড়ে ওঠা সবুজদ্বীপ। সবুজদ্বীপের উদ্ভব অনেক বছর আগেই। তারপর সরকারি প্রচেষ্টায় ওখানে অনেক গাছ লাগিয়ে এখন সত্যি এক 'সবুজদ্বীপ'। নদীর চরে গড়ে ওঠার ফলে,মাটি খুবই উর্বর। তাই দ্রুত গাছগুলো আকাশে সবুজের আভা ছড়িয়ে হাসছে। সেখানে আবার খাবারের দোকাও রয়েছে। মাছ, মাংস, ডিম ভাত। কবজি ডুবিয়ে খাওয়া যায় এখানে। সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে দুপুরের লাঞ্চ সবই পাওয়া যায়। কাছাকাছির মানুষের জনপ্রিয় পিকনিক স্পট এটি। তবে এখানে জনবসতি নেই। পিকনিক স্পট হিসেবে গুটি কয়েক অস্থায়ী দোকান রয়েছে মাত্র। গাছে ভরা দ্বীপটি। এমন সবুজে মানুষের চোখের আরাম হয়। মন বেশ উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। 

  সবুজদ্বীপে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে সঙ্গে উপরি পাওনা হবে অদূরেই আনন্দময়ী মায়ের মন্দির।ঐতিহাসিকরা মনে করেন,এই মন্দির দেখার পরেই রানি রাসমণির মনে দক্ষিণেশ্বর মন্দির তৈরির বাসনা জাগে। অনেকটা বিষ্ণুপুরের টেরাকোটার কাজ দিয়ে গড়া হয়েছে ওই মন্দির। প্রায় ৩৫০ বছরের পুরনো ওই মন্দিরের মধ্যে খুঁজে পাবেন ইতিহাসের গন্ধ। মনে রাখবেন, সবুজদ্বীপে যেতে গেলে আপনাকে নামতে হবে হুগলির বলাগড় স্টেশন আর তার ঠিক আগের স্টেশন সোমড়া। তাই সোমড়া স্টেশনে নেমে একটা অটো নিয়ে আগে মন্দির দেখে ওই অটো করেই চলে যান ফেরিঘাট। সারাদিন সবুজদ্বীপে আনন্দ করে সন্ধ্যায় ফিরে আসুন।

You might also like!