
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: যাঁদের বাড়িতে পোষ্য বিড়াল থাকে, তাঁরা জানেন এদের স্বভাব ভালোভাবে। এরা আয়েসি, পরিচ্ছন্ন এবং ঘুমকাতুরেও। নিয়মিত সময়মতো খাওয়া, একটু ঘোরাঘুরি, তার পর বিশ্রাম—এই ঘুমই এদের মূল সময়ের দখল নেয়। কেউ কম ঘুমায়, কেউ বেশি, তবে সাধারণত ঘুমকাতুরদের তালিকায় এরা শীর্ষে থাকে। বিড়ালের এতটা ঘুম দেখে চিন্তিত হবেন না; এটা কোনও ক্লান্তির লক্ষণ নয়। বরং এ তাদের সহজাত প্রবৃত্তি।
১। ঘুমের ব্যাপারটা বিড়ালের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। বন্য বিড়াল এবং পোষ্য বিড়ালের তফাত আছে জীবনযাপনে। বুনো বিড়ালকে শিকার করে খেতে হয়। সে কারণে, শিকারের সময়টুকু ছাড়া বাকি সময় তারা আলসেমি করে ঘুমিয়ে কাটায় শক্তি সঞ্চয় করে রাখার জন্য। বাড়ির বিড়ালকে খাওয়ার চিন্তা করতে হয় না। তা সত্ত্বেও তারা ঘুমপ্রিয় হয় কিছুটা জিনগত কারণে।
২। বিড়ালের দিকে লক্ষ করলে দেখা যাবে, ঘুমোচ্ছে, তবে কান কিন্তু খাড়া। সামান্য শব্দ হলেও সে মাথা তুলবে। বিড়ালের এই আয়েস করে ঘুমকে ‘ক্যাট ন্যাপ’ বলে। অনেক সময় বিড়াল পরিপার্শ্ব বুঝতেও এমন ঘাপটি মেরে শুয়ে থাকে। গভীর ভাবে তারা বড়জোর ৩-৪মিনিট ঘুমায়।
৩। অনেক সময় কোনও কাজ না থাকায় বিরক্ত হয়ে গিয়েও তারা ঘুমিয়ে পড়ে। একঘেয়ে ভাব, বিরক্তি কাটানোর এ এক সহজ উপায়। সে কারণে পোষ্য বিড়ালকে সক্রিয় রাখতে হলে তাদের সঙ্গে খেলার ব্যবস্থা করতে পারেন। বিভিন্ন ঘরে পছন্দের খাবার রেখে দিয়ে তাকে লুকোচুরি খেলায় উৎসাহ দেওয়া যায়। এই ভাবে কিছুটা সময় বিড়ালকে ব্যস্ত রাখলে তার শরীরও ভাল থাকবে। কারণ, শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকাটাও জরুরি।
৪। উদ্বেগ কাটাতেও বিড়াল ঘুমের আশ্রয় নিতে পারে। বিড়াল এমনিতে সংবেদনশীল প্রাণী। পান থেকে চুন খসলে তারা উদ্বেগে ভুগতে পারে। চেনা ঘরের বদল, অচেনা পরিসর, নতুন লোকজন, এমন অনেক কিছুই তাদের উদ্বেগের কারণ হতে পারে। তা থেকে বাঁচতেই বিড়াল ঘুমের আশ্রয় নিচ্ছে কি না বুঝতে হলে পোষ্যের আচরণে সর্ব ক্ষণ নজর রাখা জরুরি। খেতে অনীহা, আচরণে বদল দেখলে পশুরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
৫। কখনও কখনও দিনরাত অলস ভাবে শুয়ে থাকার কারণ অসুস্থতাও হতে পারে। স্বভাবজাত ভাবে সে ঘুমকাতুরে ঠিকই, কিন্তু ভাল করে নজর দিলে বিড়াল অসুস্থ কি না বোঝা সম্ভব। আচরণে বদল, ঠিক জায়গায় মল-মূত্র ত্যাগ না করা, চেটে গা পরিষ্কারের অনীহা, হাঁটতে-চলতে সমস্যা হলে অবশ্যই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সে খাওয়া-দাওয়া ঠিক ভাবে করছে কি না, দেখা দরকার।
