
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: মানসিক সুস্থতা ও ব্যক্তিগত বিকাশে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাপনে ইতিবাচক মনোভাব গ্রহণ করলে শুধু মানসিক চাপই কমে না, ব্যক্তি তার লক্ষ্য অর্জনেও আরও সক্ষম হয়ে ওঠে। ইতিবাচক চিন্তাভাবনা মানে সমস্যা থেকে চোখ ফিরিয়ে নেওয়া নয়; বরং জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোকে নতুন দৃষ্টিতে দেখা এবং সম্ভাব্য ভালো ফলাফলের দিকে মনোনিবেশ করা। মনোবিজ্ঞানীরা জানান, কঠিন পরিস্থিতিতেও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখতে পারলে মানুষ দ্রুত সমাধান খুঁজে পায় এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়।
নিম্নলিখিত উপায়ে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা সম্ভব-
* ইতিবাচক মানুষের সংস্পর্শ: ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে ঘিরে রাখুন। এই কাজ করলে, আপনার মানসিকতা পরিবর্তন করতে সাহায্য করতে পারে। আশা এবং ইতিবাচকতায় পরিপূর্ণ মানুষের সঙ্গে থাকলে আপনি আরও ইতিবাচক হয়ে উঠতে পারেন।
* ইতিবাচক জিনিস দেখা- শোনা: আপনি যা পড়েন, যা দেখেন এবং সারা দিন যা শোনেন, তা আপনার চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে। নেতিবাচক সংবাদ এবং চাপপূর্ণ বিষয়বস্তু এড়িয়ে চলা উপকারী হতে পারে। পরিবর্তে, আপনি অনুপ্রেরণামূলক গল্প, আশাবাদী গান এবং ইতিবাচক বার্তা রয়েছে এরকম ছবি, ভিডিও দেখতে পারেন।
* বিষাক্ত ইতিবাচকতা এড়িয়ে চলুন: বিষাক্ত ইতিবাচকতা মানে নিজেকে সব সময় খুশি এবং ইতিবাচক দেখাতে বাধ্য করা। এমনকী যখন আপনি মনের ভিতরে কষ্ট পাচ্ছেন। এই মানসিকতা ক্ষতিকারক হতে পারে। কারণ এটি প্রকৃত আবেগকে দমন করে। নেতিবাচক অনুভূতিগুলোকে গ্রহণ করে বুঝতে পারবেন, এগুলো আপনার অভিজ্ঞতার অংশ।
* দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন: যখনই নেতিবাচক চিন্তাভাবনা মনে আসবে, সেগুলোকে ইতিবাচক চিন্তাভাবনার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এটা ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হতে পারে এবং নেতিবাচক চিন্তাভাবনা এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
* স্বাস্থ্যের যত্ন: স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। সুস্বাস্থ্য ইতিবাচক রাখতে সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেও, তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। একটি সুস্থ শরীর মানসিকভাবে ভাল বোধ করতে এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করতে সাহায্য করতে পারে।
