দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: দীপাবলি ও কালীপুজো এখনও শুরুই হয়নি, অথচ তার আগেই আতশবাজির বিকট শব্দে প্রাণ ওষ্ঠাগত। শুধু মানুষ নয়, এই ধ্বনি-দূষণের ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়ছে বাড়ির প্রিয় পোষ্য ও রাস্তায় থাকা অবলা প্রাণীগুলোর ওপরও। কুকুর-বিড়ালদের মতো সংবেদনশীল প্রাণীরা আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়ে—কোথায় আশ্রয় নেবে, তা বুঝতে পারে না। বাড়ির আদরের পোষ্যরাও এই অতিরিক্ত শব্দ একেবারেই সহ্য করতে পারে না, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই সময়ে তাদের নিরাপত্তা ও মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে আমাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। কীভাবে সেই যত্ন নেবেন, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
• ঘরেই রাখুন: উৎসবের রাতে পোষ্যকে বাইরে না নিয়ে গিয়ে ঘরের ভিতরেই রাখুন। জানলা-দরজা বন্ধ রাখলে শব্দ ও আলো কিছুটা কমে আসে। ঘরের এক কোণে নরম বিছানা, পরিচিত খেলনা আর প্রিয় কম্বল রেখে একটা ছোট্ট ‘কমফোর্ট জোন’ তৈরি করে দিন। তাতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে না পোষ্য। সম্ভব হলে হালকা সুগন্ধিতে ভরিয়ে তুলুন ঘর।
• একটু জোরে গান চালিয়ে রাখুন: টেলিভিশন বা ব্লুটুথে একটু আওয়াজ বাড়িয়ে গান চালিয়ে রাখলে বাইরের তীব্র শব্দ ঢেকে যায়। এতে পোষ্যের মন কিছুটা স্থির থাকে।
• সঙ্গ দিন: ভয় পেলে পোষ্যকে একা ফেলে রাখবেন না। আপনার উপস্থিতি ও আলতো স্পর্শ ওদের আশ্বস্ত করে। শরীরের উষ্ণতা ও নিরাপত্তা অনুভব করবে।
• খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দিন: ভয় পেলে অনেক সময় পোষ্যরা খেতে চায় না। তাই যতটা খেতে চাইছে ততটাই খাওয়ান। পরিষ্কার জল রেখে দিন পাত্রে।
• সব সময় সঙ্গে থাকুন: এই সময় পোষ্যের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করুন। কোলে তুলে নিয়ে আদর করুন। তাকে শান্ত রাখুন ও বোঝান যে ভয়ের কোনও কারণ নেই আপনি সঙ্গেই আছেন।
• চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি পোষ্য খুব ভয় পায় বা কাঁপতে থাকে, সে ক্ষেত্রে পশুচিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। প্রয়োজনে তিনি হালকা ওষুধ সুপারিশ করতে পারেন।