
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: সময়ের ক্রমিক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়। একটি পর্যায়ে পৌঁছে সঙ্গী মুখে বক্তব্য প্রকাশ না করলেও আপনার মনের ভাবনা বুঝে নিতে পারে। তবে, প্রেম মানে এই নয় যে জীবন সবসময়ই আনন্দমুখর থাকবে। মনোমালিন্য এবং ঝগড়া আসলে সম্পর্কেরই স্বাভাবিক অংশ। যার কারণ হলো নিজেদের কিছু রোজকার অভ্যাস। অজান্তেই অনেকে এমন কিছু ভুল করে বসেন, যা সম্পর্কের জটিলতা বাড়িয়ে তোলে। আপনারা কি সেই ভুলগুলো সম্পর্কে অবগত? তা জেনে আজই সচেতন হোন।
১. সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় সম্পর্কের সমীকরণ। প্রথমদিকে দিনভর কথা বললেও একটা সময়ের পর তা কমে। ব্যস্ততা যত বাড়ে দু’জন দু’জনের থেকে ততটা দূরে সরতে থাকে। দেখা যায়, একমাত্র সমস্যা দেখা দিলেই একে অপরের কাছে অনুভূতি প্রকাশ করে। যা তরতাজা সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে নিমেষেই।
২. সঙ্গী হয়তো অভিমানে একটা দীর্ঘ মেসেজ পাঠিয়েছেন। বা হয়তো প্রয়োজনীয় কিছু লিখেছেন। আপনি সামান্য একটা ‘ওকে’, ‘হুম’ উত্তর দিয়েই সেরে ফেলেন। এটা ভীষণভাবে ভুল বার্তা দেয় সঙ্গীকে।
৩. কোনওকিছু নিয়ে আলোচনা করতে বসলে সঙ্গীর কথা আগে শুনুন। তিনি কী বলছেন তা না শুনেই নিজের কথা বলতে যান অনেকেই। যা একেবারেই ঠিক নয়। উলটো দিকের মানুষটাকে মনের কথা প্রকাশের সুযোগ দিন।
৪. অশান্তি সম্পর্কের অঙ্গ। অনেকেই যে কোনও বিষয়ে অশান্তিতে পুরনো প্রসঙ্গ টেনে আনেন। যাতে বিবাদ চরমে ওঠে। এই ভুল না করাই ভালো। যা গেছে তা যেতে দেওয়াই সম্পর্কের জন্য ভালো।
৫. অনেকেই মুখ ফুটে কিছু বলেন না। ভাবেন এমনিতেই সঙ্গী সবটা বুঝে নেবেন। তবে তার অন্যথা হলেই ভেঙে পড়েন। সঙ্গীর প্রতি অভিমানের পাহাড় তৈরি হয় মনে। যা একটা সময়ের পর দূরত্ব বাড়ায়।
৬. সবসময় সব বিবাদে যে আপনিই জিতবেন, তা কিন্তু নয়। বেশিরভাগ মানুষই এই বিষয়টা মানতে পারেন না। তাই সঙ্গীর সঙ্গে বাদানুবাদেও যে কোনও মূল্যে জেতার চেষ্টা করেন। এই অভ্যেস সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। তাই চেষ্টা করুন এটা স্বভাব পালটে ফেলতে আজই।
